নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

বানিজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি : পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে রাজধানী ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ঢাকাসহ সারাদেশে ৫১টি মনিটরিং টিম কর্তৃক ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩,৮৬,৫০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।


বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগরীতে ৬টি মনিটরিং টিম কর্তৃক ১১টি বিভিন্ন পাইকারী, খুচরা বাজারে তদারকি করা হয়। রাজধানীর এসকল বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, উপপরিচালক জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।


বিজ্ঞাপন

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল টিমের সাথে বাজার তদারকি করেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে জেলা উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী, মিরপুর ৬নং বাজার, রাইনখোলা, মিরপুর-১০, শান্তিনগর, মালিবাগ, বাসাবো,খিলগাঁও, গেণ্ডারিয়া, বনানী ও মহাখালী এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, সুপারশপ ও ফার্মেসীতে তদারকিকালে সবজি, পেঁয়াজ, ছোলা,ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি,খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিকমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রয়,পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের সাথে বিক্রয় রসিদের গরমিল, সঠিক ওজন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ, নকল পণ্যসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তদারকিকালে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও পণ্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল,চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এসময় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বিক্রয় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণের অপরাধে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকান ও ফার্মেসীকে জরিমানা আরোপ করা হয় এবং এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।

বাজার তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্পলেট বিতরণ এবং করোনাকালে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবি’র সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যসমূহ (ট্রাক সেল) যথাযথ নিয়ম মেনে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, পবিত্র রমজান ও কোভিড মাহামারীকালে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন সরকারী আইন মেনে ও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।