মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেল ৩টায় জেলা জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন অপরিহার্য।” তিনি আরও বলেন, “পি-আর পদ্ধতি (সংখ্যা আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি) বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অথচ একটি পক্ষ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, তারা পি-আর বোঝে না, বোঝার ভান করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।”
গোপালগঞ্জ-২ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আজমল হোসেন সরদার পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা;
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পি-আর পদ্ধতি চালু করা;
৩. অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা;
৪. স্বৈরাচার সরকারের জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা;
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।

গোপালগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, “একটি গোষ্ঠী মাঝে মাঝে আওয়াজ তোলে— ‘শেখ হাসিনা ফিরে আসবে’। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও উৎখাত হওয়া স্বৈরাচাররা আর ফিরে আসেনি, বাংলাদেশেও খুনি স্বৈরাচাররা আর ফিরবে না।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পি-আর পদ্ধতির বাস্তবায়ন জরুরি।”

মানববন্ধন পরিচালনা করেন গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মাসুদ। তিনি বলেন, “আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”