মো. কামাল মাহমুদ : গতকাল থেকে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে এক মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা। সবার আলোচনা-সমালোচনা দেখে মনে হচ্ছে, মনে হয় একজন অত্যান্ত সংগ্রামী, কর্মঠ মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাই মানুষজন সর্বোচ্চ বিচার চাচ্ছে। বিচার চাওয়া দোষের কিছু না কিন্তু ঢালাওভাবে একটি বিশাল গ্রুপের বিরুদ্ধে সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থা করেছে। প্রতিষ্ঠিত বড় গ্রুপ বলেই কি এই সমালোচনা? দোষী হলে ব্যক্তি হবে কোন শিল্প গ্রুপ না।
আচ্ছা লোকজন কি বুঝে না একটা মেয়ে যার ৫ হাজার টাকা বৈধ ইনকাম নেই সে থাকে এক লক্ষ ১১ হাজার টাকার ভাড়া ফ্ল্যাটে। সে শুধুমাত্র বিলাসিতার জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়েছে। তার জন্য বিচার এর আন্দোলন করে নিজের সময় অপচয় করা ছাড়া আর কিছুই না।
আসলে আমরা স্বার্থপর আর আবেগী জাতি তাই আমরা ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। মেয়েটির পরিবারের লোকজন দাবি করেছে দুই বছর ধরে বসুন্ধরার এমডির সাথে মেয়েটার সম্পর্ক। বসুন্ধরার এমডির বউ বাচ্চা আছে, এটা জানার পরেও্ আমার মনে হয় লোভের বশবর্তী হয়ে মেয়ের পরিবার তাকে এগিয়ে দিয়েছে। আর মেয়েটি তার বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য অন্ধকার জীবন গ্রহণ করেছে।
আমাদের দেশের মানুষ যেন আর অন্ধকার জীবনে না চলে যায়, আপনারা জীবনের নিম্ন পর্যায় থেকে প্রতিটি মানুষকে সেই শিক্ষা দেয়ার আন্দোলন করুন। উঠতি বয়সী লোভী মেয়েদের এই বিষয়ে সাবধান করুন।
একটা ঘটনা নিয়ে মাতামাতি করার আগে অন্তত নিজের বুঝা উচিত আসলে কি দুজনেই অপরাধী? নাকি একজন? ঢালাও ভাবে একজনের দোষ না দিয়ে সমালোচনা ছেড়ে বাস্তববাদী হন। পুলিশ মামলা নিয়েছে। সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিচারাধীন বিষয়ে তদন্তের আগের এক তরফা ভাবে ভাবা উচিত বলে মনে করি না। ধন্যবাদ।