নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিগত বছরের বাজেটের তুলনায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেটে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ অনেক বাড়ানো হয়েছে। তবে সেটি শতকরা হারে না হলেও অর্থের পরিমাণে অনেক। তিনি বলেন, অর্থ পেলেই হয় না, তাকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষাখাতে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করবো ইনশাল্লাহ। বিশ্বের প্রতিটি দেশই শিক্ষখাতকে গুরুত্ব দেয়। কোনও কোনও দেশ শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ ভাগ বরাদ্দ দেয়। আমাদের দেশে ১৭ ভাগে তা রাখা হয়েছে। বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। বিদ্যুৎ, সড়ক, প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ ইত্যাদি শিক্ষার সঙ্গে জড়িত। একজন শিক্ষার্থী এসব সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষাকে সরকার কোনো অংশে কম গুরুত্ব দেননি। শুক্রবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর সফরে এলে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, মূলত যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের অনেক শিক্ষক এখনো কোনো প্রশিক্ষণ পাননি। প্রশিক্ষণের দিক দিয়ে আমরা অনেকখানি পিছিয়ে। এসব কাজ আমরা খুব দ্রুত করতে পারি, আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে। জিপিএ-৫ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বেই জিপিএ’র বিষয়টি ৪ স্কেল করা হয়। আমাদের দেশেও উচ্চ শিক্ষায় ৪ এর স্কেলে হয়। শুধুমাত্র এইচএসসি পর্যন্ত ৫ স্কেলে আছে। তাই আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা ও বিদেশের সঙ্গে একই রকম করার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কারণ শিক্ষার্থীরা যাতে করে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়ে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।