বিয়ে বন্ধ হলো, শুরু হ‌লো নতুন ক‌রে পথ চলা

অপরাধ

মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স উইং‌কে

পাঠা‌নো মেসে‌জের ভি‌ত্তি‌তে ব্যবস্থা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : মেধাবী ছাত্রী তমালিকা (কল্পিত নাম)। এসএসসি’তে এ প্লাস পেয়েছে। সাভার মডেল কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। পড়াশোনা করে বড় হবে এই তার ইচ্ছা। মাঝে বাধ সাধে তার পিতার জেদ। মেয়েকে বিয়ে দিবে। ভাল পাত্র পেয়েছে। তাই, তাড়াহুড়া। তমালিকা পড়তে চায়। সে বড় হতে চায়। অনেক বড়। দাঁড়াতে চায় তার মতো অনেকের পাশে। দেশের জন্য কাজ করতে চায়। এই বিয়ে তার সকল স্বপ্নকে চুরমার করে দিবে। যে কোনোভাবেই হোক এই বিয়ে তাকে বন্ধ করতে হবে। কিন্তু কোনো উপায় চোখে পড়ছে না তার। শত চেষ্টা করেও বাবার সিদ্ধান্ত ঘোরাতে পারেনি সে। কেড়ে নেয়া হয়েছে তার মোবাইল। যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ও বন্ধ।


বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে ঘনিয়েছে বিয়ের লগ্ন। এসেছে বিয়ের দিন। বর এসেছে। এসেছেন অতিথিরা। নিশ্চিত পরাজয়ের গ্লানি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাকে। সন্ধ্যা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে তাকে। চলছে সাজগোজ। সময় নেই হাতে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। চোখে চোখে রাখা হয়েছে তাকে। তবু, এক ফাঁকে এক অ‌তি‌থিকে অনুরোধ করে সে। তার মন গলে। তারই মোবাইল থেকে সহপাঠী এক বন্ধুকে ফোন করে সাহায্য চায়।

বন্ধুটি কি মনে করে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে বার্তা প্রেরণ করে সহায়তা চায়। বার্তাটি পেয়েই মিডিয়া উইং তাৎক্ষনিকভাবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেনকে বার্তাটি পাঠিয়ে অ‌ভি‌যোগ সত্য হ‌লে তাৎক্ষনিকভাবে বিয়েটি বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেয়।

পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিয়েটা হয়ে যেতে পারে। তাই, কাছাকাছি এলাকার এক জনপ্রতিনিধিকে ফোন করে তার সহায়তা চায় পুলিশ। তিনি ছুটে যান। অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিয়ে থামান। পুলিশও পৌঁছে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। বিয়েটা থেমে যায়। শুরু হয় তমালিকার নতুন পথচলা।