১৪ আসনের ভালোলাগার মানুষ বীরমুক্তিযোদ্ধা আগা খাঁন মিন্টু

রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয়ভাবে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-১৪ আসনের উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য সব প্রার্থীর আনাগোনা ও কর্মসূচি বেড়েছে। অনেক নেতা এলাকায় সদ্য প্রয়াত এমপি আসলামুল হককে স্মরণ করে নিজেদের প্রচারণার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণেও তাঁদের দৌড়ঝাঁপ করতে শুরু করেছেন। ঢাকা ১৪ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খাঁন মিন্টু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগের নেতা বলেন আগা খান মিন্টু ভাই আমাদের মিরপুরের ছাত্রলীগের রাজনীতির শিক্ষাগুরু ছাত্র জীবন থেকেই মুজিব আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে রাজনীতিতে সংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ তাঁর হাত ধরেই আমরা অনেকেই আজ ছাত্রলীগে আছি। তিনি ১৯৭০ সালে বৃহত্তর মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭২ সালে নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে জিএস নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
অনেকে ঢাকা-১৪ আসন অবস্থান করে দলের নীতি নির্ধারক নেতাদের সবুজ সংকেত পাওয়ার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় সমর্থন পেতে ঘরোয়া বৈঠকসহ সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে দলের মধ্যে নানামুখী গ্রুপিং-লবিং দেখা যাচ্ছে। ঢাকা ১৪ আসনের অন্তর্গত কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এর এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন আগা খাঁন মিন্টু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এবং ১৯৮৩ সালে বৃহত্তর মিরপুর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নির্বাচিত হয়ে দক্ষতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আগা খাঁন মিন্টুকে দলীয় নমিনেশন দিয়ে নৌকার মাঝি করা হোক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর বলেন ১৯৯৩সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ০৮ নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগ মনোনীত কমিশনার পদে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন এবং আমরা অনেকেই তার পথ অনুসরণ করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিলর হয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরপুর থানা এক প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন আগা খাঁন মিন্টু ১৯৯০সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ বিএনপি-জামায়াত জোটের বিভিন্ন আন্দোলন বিরুদ্ধে সক্রীয়ভাবে অংশ গ্রহন এবং আন্দোলনরত অবস্থায় বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক পুলিশ দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। ১৯৯৪সালে বৃহত্তর মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এবং কর্মীবান্ধব আমি তার সর্বত্ত মঙ্গল কামনা করছি। শাহ আলী থানাধীন এক ভাড়াটিয়া চা দোকানী বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খাঁন মিন্টু ২০১৬সাল হতে আজ অব্দি পর্যন্ত শাহআলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি একজন সৎ এবং আওয়ামী লীগের কান্ডারী একজন ভালো মানুষ এটাই তো সবচাইতে বড় পরিচয় বলে আমি মনে করি। সরেজমিনে জানা যায় মিরপুর ১ নং সেকশনস্থ শাহআলী থানাধীন হযরত শাহআলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের-চেয়ারম্যান পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডে দক্ষতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। একান্ত আলাপচারিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খাঁন মিন্টু বলেন আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুজিব আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুনাম যাতে বৃদ্ধি পায় তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি নিরালস ভাবে। এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মানস কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয় তাহলেএই উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সদ্যপ্রয়াত মো. আসলামুল হকের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব ইনশাআল্লাহ। আর যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে তিনি যাকে মনোনয়ন দিবেন তার হয়ে কাজ করবেন ইনশাআল্লাহ। ঢাকা-১৪ আসনের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার আদায়ে জনতার জন্য কাজ করে যাব।


বিজ্ঞাপন