মির্জা ফখরুলের বক্তব্য হাইকোর্টের প্রতি অশ্রদ্ধা

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার জন্ম সংক্রান্ত তথ্যাদি বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন মির্জা ফখরুল সাহেব। সেখানে তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো হাইকোর্টের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন, আইন-আদালতের প্রতি অসম্মান। তিনি সেখানে কিছু আপত্তিকর কথাও বলেছেন।


বিজ্ঞাপন

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

হাছান মাহমুদ বলেন, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জন্ম সংক্রান্ত তথ্যাদি উপস্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই সবার কাছে পালনীয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিশ্চয়ই সব তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মতারিখ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন একজন মানুষ কয়বার জন্মায়? আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ-ছয়বার জন্মতারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্মগ্রহণ করালেন। ওনার কোনো সরকারি নথিতে জন্মতারিখ ১৫ আগস্ট উল্লেখ নেই। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে ওই দিনকে খালেদার জন্মতারিখ বলে কেক কাটা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হাত্যাকাণ্ডে সমর্থন দেয়ার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য এবং উপহাস করার জন্য।

হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। একজন মানুষের ছয়টা জন্মতারিখ হওয়া মানে তার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তারা সেটা করছেন।

তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট দিনে কেউ জন্ম নিতে পারবে না সেটা বলে দিলেই হয়, এটি প্রচণ্ড আপত্তিকর। কে কোন দিন জন্মগ্রহণ করবে সেটি নির্ধারণ করেন মহান আল্লাহ। স্রষ্টার ইচ্ছায় যে কেউ, যেকোনো জায়গায় জন্মগ্রহণ করতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর সব প্রাণী একবার জন্মগ্রহণ করে, মানুষও একবার জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীর কোনো মানুষ পাঁচ-ছয়বার জন্মগ্রহণ করে না। কোনো মানুষের ৫-৬টি জন্মতারিখ থাকে না, যেহেতু জন্ম একবারই হয়। অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। সব প্রাণী একবারই জন্মগ্রহণ করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদার ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি মেট্রিক পরীক্ষার ফলাফলে তার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বিবাহ সনদে ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট, সরকারি নথিতে ১৯৪৭ সালের ১৯ আগস্ট, বর্তমান পাসপোর্টে আছে ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট, সম্প্রতি করোনা টেস্টে জন্মতারিখ উল্লেখ আছে ১৯৪৬ সালের ৮ মে।’