নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে মিডিয়ার অনেক নারী। মিডিয়াতে কাজ করে বলে কী তারা মানুষ না? আজকে ধর্ষণের সম্মুখীন হয়ে যখন পরীমনি বিচার চাইছেন সেখানেও বাহ কি সুন্দর সুন্দর কমেন্ট।
যারা উদাহরণ দিচ্ছে পরীমনি রাত ১২টা কেন ঐখানে গেলো। একটা নায়িকা বিভিন্ন জন্মদিন, পার্টি, প্রোগ্রামে যেতে পারে এটি স্বাভাবিক। আপনি কি জানেন? কোন বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে সেক্স করলেও সেটার একপ্রকার ধর্ষণের আত্তায় থাকে। আর সেখানে পার্টিতে যাওয়ায় যদি একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যা করার হুমকি-ধমকি দেয় সেটাও অবশ্যই অপরাধ হবে।
এককথায় রাজি কিংবা জোরপূর্বক কিছু করার মধ্যে বড় ধরণের তফাৎ রয়েছে। সেই পতিতা হোক, বেশ্যা হোক চাইলেই আপনি তার সাথে কিছু করতে পারবেন না। সে অধিকার আপনার কখনোই নেই। আর এখানে তো একজন পরিচিত নায়িকার বিষয় উঠে এসেছে। পরীমনির ভাষ্যমতে ক্লাবে যাওয়ার পর তাকে নাসির উদ্দীন মাহমুদ সহ কয়েকজন মিলে জোরপূর্বক কিছু করার চেষ্টা করেন। এমনকি তাকে ৩০০ টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো কথা বলে হুমকি দেন।
পরিশেষে একটি বলতে চাই, আমাদের সমাজ এমন জোরপূর্বক ভোগকারী লোকের অভাব নেই। এরা সব কোন না কোন ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রেহায় পেয়ে যাচ্ছে। একজন নায়িকার মতো চেনাজানা মুখের সাথে এমন ঘটনা ঘটতে পারলে তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন আমাদের সমাজের সাধারণ মেয়ের সাথে কেমন কাজ হয়ে থাকে। এইরকম বাজে ধরনের কাজ আমরা এড়িয়ে গেলে আগামীতে আরো ঘটতে থাকবে।
তাই সকলের কাছে অনুরোধ অন্ততপক্ষে তাকে এখন নায়িকা না ভেবে একজন সাধারণ মেয়ে ভেবে হলেও তার পক্ষ নিয়ে বিচার চান। হয়তো বেরিয়ে পড়বে বড় বড় রাঘববোয়ালদের নাম। আমরা কি পরীমনির পাশে একটু দাঁড়াতে পারিনা? আর যাইহোক মেয়েটার মন অনেক ভালো। বাইরে তিনি যাই করুক প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষকে সাহায্য করেন তা নিজের চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেন না। আমরা এই ঘটনার একটি সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই। যেন আদোও ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীনে কোন মেয়েকে না পড়তে হয়।