শিক্ষকতা ও একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত অভিপ্রায়

অন্যান্য

সাবরীনা মান্নান : সতেরো বছর এ দেশে শিক্ষকতা করেছি,কম সময় নয়! বর্তমানে একটি স্বনামধন্য স্কুল এবং কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছি।


বিজ্ঞাপন

পেশাগত জীবনে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা থাকাটাই স্বাভাবিক,তবে আমি আজকাল কিছু বিষয় নিয়ে এতটাই অবাক হই কষ্টও পাই, অনেক সময়ই নিজের মনের কষ্ট চেপে রাখা সম্ভব হয় না।


বিজ্ঞাপন

আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, স্কুল কলেজে,বাবা শিক্ষকদের বলে আসতেন,আমার সন্তানকে দিয়ে গেলাম, মানুষ করার দায়িত্ব আপনাদের।

আমাদের সময়ে স্কুলের শিক্ষকদের হাতে বেতের বাড়ি খাইনি, এমন কেউকে আমি অন্তত খুঁজে পাইনি।

আমার আগে পরে বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ও অন্যান্য বহু দেশে সন্মানের সাথে কাজ করছে।

এক কথায় মানুষের মতো মানুষ হতে পেরেছেন’, এখনো আমরা স্কুল কলেজের শিক্ষকদের দেখলে পা ধরে সালাম করতে দ্বিধা বোধ করি না।

আজকাল নিয়ম হয়েছে ছাএ- ছাএীদের মারা তো যাবেই না উচ্চস্বরে যদি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা কথাও বলেন, তার চাকরি থাকে না এবং শিক্ষার্থীদের বাবা মা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষকদের সবার সামনে গালি দিতে ছাড়েন না, এমনকি তারা লোকাল পলিটিকাল লিডার নামক কিছু লাঠিসোঁটাও সাথে নিয়ে আসেন,
পাশাপাশি মূহুর্তের মধ্যে সোস্যাল মিডিয়াতেও মিথ্যা বদনাম ছড়াতে দ্বিধা করেন না।

আমি বলছি না ছাএ/ছাএীদের কোনো ধরনের শারিরীক নির্যাতন করা যাবে, তবে একজন শিক্ষকের অবস্থান সম্পর্কে অবশ্যই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল?

আমার বোধগম্য নয়!
এখন মাঝে মাঝে মনে হয় শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে কি ভুল করেছি?

একটি ভারসাম্যপূর্ন সমাজ ও নির্মল পৃথিবীর স্বপ্ন এখনো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।