নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ ঢাকা বোট ক্লাব ভেঙ্গে ফেলার দাবি

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৬ জুন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ ঢাকা বোর্ড ক্লাবসহ সকল অবৈধ স্থাপনাকে ভেঙে ফেলতে হবে।


বিজ্ঞাপন

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশ দিয়ে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু নদী, মেঘনা নদী প্রবাহিত। স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রত্যেকটি নদী দখলে দূষণে জর্জরিত। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরাগ নদী। তুরাগ নদীর চারপাশ দিয়ে শিল্প কলকারখানা ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ফলে নদী হয়েছে সংকুচিত। নদীর জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় স্থাপনা। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকা বোট ক্লাব। যদিও ঢাকা বোট ক্লাবের জায়গাটি অন্য ব্যক্তির লিজের জায়গায় জোর করে গড়ে তোলা। ঢাকা শহরের চারপাশের নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণ করার বিষয়টি অমীমাংসিত। বিআইডব্লিউটিএ নদীর যে সীমানা পিলার গুলো নির্ধারণ করেছে তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ এবং দুর্নীতিতে ভরা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরের নদী দখল ও দূষণ রোধে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হলো:
১) অনতিবিলম্বে ঢাকার চারপাশের নদীর নাব্যতা সংকট রোধে ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়াতে হবে।
২) সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর চারপাশ জুড়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
৩) নদীর দূষণ রোধে ইটিভি ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে বাইপাস ক্যানেল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
৪) সীমানা পিলার নির্ধারণ করতে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করতে হবে।
৫) ঢাকা শহরের যানজট কমাতে বেসরকারি পর্যায়ে ওয়াটার বাস চালু করতে হবে।
৬) নদীর চারপাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭) ঢাকা শহরের সকল খালকে দখল ও দূষণ মুক্ত করে নদীর সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৮) নদী ও খালের সকল রকম বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত রাখতে হবে, পাশাপাশি নৌ পুলিশ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।