বিআরটি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হবে

জাতীয়

শেখ রাজীব হাসান, টঙ্গী, গাজীপুর : গাজীপুরে টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশে চলমান বিআরটি প্রকল্পের কাজ ধীর গতিতে চলছে। ফলে জন সাধারণের ভোগান্তি দিন দিন আরো বাড়ছে। বিগত আট বছর যাবত চলমান এই প্রকল্পের কাজ ধীর গতিতে চলায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়কের বিভিন্ন ভাঙ্গা অংশে পানি জমাট বাধে এতে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ । ফলে যানবাহন চলাচলের সময় পানি যানবাহনের ইঞ্জিনে প্রবেশ করলে বেশির ভাগ যানবাহন বিকল হয়ে পরে। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন গর্তে পরে উল্টে যাচ্ছে এতে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনা ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার, ওভারপাস, বিআরটি, সাধারণ যান চলাচলের পৃথক লেন নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজ এক সঙ্গে চলছে, যার কোনোটিই শেষ হয়নি। আগামী বছরের জুন মাসে পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সড়কের দুইপাশের ড্রেন গুলো পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এছাড়া সড়কের যে সকল অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সে অংশ গুলো দ্রুত চলাচলের উপযোগি করা হবে। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশে বুধবার দুপুরে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় পরিদর্শনে এসে বিআটি‘র অতিরিক্ত সচিব নিলিমা আক্তার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় বিআরটি“র প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত আলী জানান, বর্তমানে সড়ক সচলে পুরোদমে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৫৫ ভাগকাজ শেষ হয়ে গেছে। টঙ্গী কলেজ গেট থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে মোট চার লেনের রাস্তার কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তবে কাজ চলাকালীন সময় বিকল্প সড়কগুলো ব্যাবহার করলে খুব দ্রুতই যানজট নিরসন হবে বলে দাবি করেন তিনি।
বিআরটি“র কাজের পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বরকতুল্লাহ খান (পিপিএম সেবা), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ডিসি মামুন, এডিসি ট্রাফিক হাফিজুর রহমান, জিএমপি ট্রাফিক দক্ষিন জোনের এসি শরীফ, টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হায়দার সরকার, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মোঃ শাহ আলম প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন