নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে রােহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভােটার করার অপরাধে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক খােরশেদ আলমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৬ জুন) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর ও দুদক চট্টগ্রামের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক খােরশেদ আলম, চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের সাবেক উচ্চমান সহকারী ও বর্তমানে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া ও পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মাে. মােস্তফা ফারুক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম জেলার ভোটার তালিকা প্রণয়নে অফিসের ল্যাপটপসহ কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত করেছেন।
মামলায় বলা হয়, নির্বাচন অফিসের সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুক অফিসের ল্যাপটপসহ সংশ্লিষ্ট কিছু মালামাল গ্রহণ করে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় এমন অপকর্ম করেন। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ওই ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ সময় অফিসের ল্যাপটপ হারিয়ে যাওয়ার নাটক করে আসামিরা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১/০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।