রিসোর্টে অসামাজিক কাজ করায় ২৪ নারী-পুরুষ ধরা

অপরাধ এইমাত্র

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইউসুফগঞ্জের কাদিরারটেক এলাকার পূর্বাচল হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্ট থেকে দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্যসহ অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত নারীদের মধ্যে ৪ জন নৃত্যশিল্পী ও ৭ জন যৌনকর্মী। এ ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় দেশি-বিদেশি মদ, বিয়ার, জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ ৪৭ হাজার ৫শ’ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন-বরগুনা জেলার আলাউদ্দিন (৪০), সিয়াম (১৯), ঢাকা জেলার লাবলু (৩২), সোহেল (৩৮), ফরিদ হোসেন (৩৪), জাহিদুর রহমান (৪৬), মধুপুরের দাউদ মুরং (১৮), শেরপুর জেলার জসীম উদ্দিন (২৬), কুমিল্লা জেলার সালাম আহমেদ (২২), সাইফুল ইসলাম (৩৯), বরিশাল জেলার মুজিবর রহমান (৪০), ঝালকাঠি জেলার নুর আলম (২২), নারায়ণগঞ্জ জেলার আবির রায়হান (২৮), মুন্সিগঞ্জ জেলার মোশারফ (২০)। এদের মধ্যে ৩ জন রেস্টুরেন্টের কর্মচারী। নৃত্যশিল্পী নোয়াখালী জেলার লাবনী (২১), লক্ষীপুরের নাজমা (১৯), ফরিদপুরের মুনিয়া আক্তার (১৮), নারায়ণগঞ্জের জেরিন আক্তার শাহিন (২৫), ঢাকা জেলার মায়া বেগম (২৫), রুনা আক্তার (২১), দাউদকান্দির নওরিন আক্তার (২০), সোনিয়া (১৮) দিনাজপুরের প্রিয়া আক্তার (২২), কালকিনি থানার ফারিহা আক্তার (১৯), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রুবিনা আক্তার এ্যানি (৪২)।


বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার এসআই ইফাত আহমেদ বাদী হয়ে এই মামলা দুইটি দায়ের করেছেন। এছাড়া আসামিদের শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে পূর্বাচল হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে অবাধে মাদকদ্রব্য সেবন, মাদকদ্রব্য বিক্রয়, অশ্লীল নৃত্য, অসামাজিক কাজ ও ডিজে পার্টির নামে রাতভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। তবে রেস্টুরেন্টটির মালিক ও পরিচালনাকারীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।