পিরোজপুর প্রতিনিধি : ধর্মীয় লেবাসের অন্তরালে মুখোশধারী শয়তান হিসেবে সৎ ভাইসহ চাচাতো ভাইদের ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে সেহাঙ্গলের খলিলের ছেলে আ. রহমানের বিরুদ্ধে। ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বেঈমানী করারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নষ্ট চরিত্রের অধিকারী আ. রহমানের বিরুদ্ধে। হীনস্বার্থের জন্য কুমারী মেয়েদের সাথে প্রেমের নামে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করারও অভিযোগ উঠেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে সেহাঙ্গলের বহু মেয়েরা লিখিত আকারে ও ভিডিও ফুটেছে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করব। নষ্টচরিত্রের হুজুর নামধারী রহমান ঘরে সুন্দরী স্ত্রী রেখে প্রতিবেশী বহু মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
কথায় বলে, চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন পাশাপাশি ধর্মের কল বাতাসে নড়ে বিধায় বহু অপকর্মের খলনায়ক নিজের পাপে নিজেই জড়িয়ে পড়েছে। এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, রহমান একটা বাজে ও চরিত্রহীন। অপরাধের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। হীনস্বার্থের জন্য সৎ ভাইকে ফাসাতেও ঝুড়ি মেলা ভার। সেহাঙ্গলের বেশীরভাগই লোকজন জানান, এলাকার উঠতি বয়সের বালিকাদের সাথে আলাপ চারিতার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে মেয়ের দুর্বলতাকে পুঁজি করে ধীরে ধীরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বদচরিত্রের জামাত শিবিরের নেতা রহমান। অভিযোগ উঠেছে সেহাঙ্গলের প্রায় পঞ্চাশ অধীক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ সাহেব আলীর মেয়েকে নিয়েও মহানাটক করে। মেয়ের জবানবন্দিতে সুস্পষ্ট প্রমান হয় জামাত শিবিরের নেতা রহমান বিশ্ব টাউট শ্রেণীর একজন। স্বার্থের জন্য কুমারী বালিকা দিয়ে সৎ ভাই জাহিদকে ফাসাতে দ্বিধা বোধ করেনি।
এদিকে এলাকার জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের বলেন, আসলে ঘটনার কথা প্রশাসনের মাধ্যমে জেনেছি। স্থানীয় মানুষদের ভাষ্য, আ. রহমানের কাছে জিম্মি এলাকার কুমারী বালিকারা। পাশাপাশি মেয়ে পরিবারও অপরাধী বটে। একই মেয়ে দুই ভাইয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে যাচ্ছে সুকৌশলে। জামায়াত শিবিরের নেতা হয়ে সৎ ভাইকে ফাঁসিয়ে দিতে একবার বিবেক কেঁপে উঠেনি।
সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকাবাসীর দাবী, মেয়েসহ জামাত নেতা রহমানের ও তার ভাইয়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চায়। অভিযোগ উঠেছে একটি পক্ষ দেড় লাখ টাকার লেনদেনে প্রাথমিক রফাদফা করেছে। সুশীল সমাজের প্রশ্ন, সমাজের অবৈধ কাজ যদি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়া হয় তাহলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না। প্রশাসনের লোকজন চরম বিতর্কে জড়িয়ে পড়বে। এলাকাবাসীর দাবী, কঠিন শাস্তি হোক খলিলের ছেলে শিবির নেতা রহমানসহ জাহিদ ও মেয়ে মুনার।