নিজস্ব প্রতিনিধি : নর্দমার পানি সরাসরি খালে নিতে যেতে নকশা প্রণয়ন করে সে অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় নর্দমাগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ বুধবার (২৩ জুন) নগরীর মৌচাক মালিবাগ রেলগেইটের মধ্যবর্তী ফরচুন শপিং মল সংলগ্ন নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আজ আমি যেখানে আসলাম, আপনারা দেখেছেন – এখানে যেভাবে নর্দমা করা হয়েছে, তাতে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যে মহাপরিকল্পনা করছি, তার আওতায় সেভাবেই নকশা প্রণয়ন করব, যাতে করে বৃষ্টির পানি সরাসরি খালে চলে যেতে পারে। পানি সরাসরি খালে চলে গেলে ইনশাল্লাহ আমাদের আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এটা সম্ভব কিন্তু অত্যন্ত দুরূহ।”
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, “নর্দমাগুলোর নকশা যেভাবে করা হয়েছে, তাতে ঢাকায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার তার ধারণ ক্ষমতা সেগুলোর নেই। সুতরাং আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিতে হবে, বন্দোবস্ত করতে হবে এবং মূল নর্দমা, নালা, প্রশাখাগুলো – সবগুলো নতুনভাবে নকশা করতে হবে।”
ধারণক্ষমতা আমাদের বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা এখন যে ধারণক্ষমতা দেখি, তাতে এক পশলা বৃষ্টি হলেই পানি যাওয়ার সুযোগ থাকেনা ধারণক্ষমতা উপচে পড়ে বলে মন্তব্য করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।
মশক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তেল চুরি রোধে কর্মপরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং তদারকি জোরদার করা হচ্ছে বলে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান।
এরপরে ঢাকা সিটি মেয়র খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজার, বিনত বিবি’র মসজিদ, সিক্কা টুলি পার্ক পরিদর্শন করেন। তার আগে আজ সকাল ১০.০০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড গুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।