শরণখোলায় ঘরের চালে বিদ্যুতের তার, অন্ধকারে ২০টি পরিবার

সারাদেশ

ইউএনও’র নির্দেশ উপেক্ষা


বিজ্ঞাপন

নইন আবু নাঈম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘরের চালের উপরে বিদ্যুৎ লাইনের তার পড়ে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। অনেকদিন ধরে ওই এলাকার ২০টি পরিবার রয়েছে অন্ধকারে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপারিশ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম কে তিনি ইউএনও’র নির্দেশকে উপেক্ষা করে বিষয়টির এখনও কোন সুরহা করেননি। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকার ২০টি পরিবার।
সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ি গ্রামের চিত্তরঞ্জন শিকদারের ছেলে বিদ্যুৎ কান্তি শিকদার তার নিজ বাড়িতে একটি দোতলা টিনের ঘর তোলেন । যার চালের উপরে মিশে যায় ২৫ বছরের পুরনো বিদ্যুৎ লাইনের তার । এর ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে পরিবারটি । লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেই চাল কারেন্ট হয়ে যায়। এখন সেখান খেকে বিদ্যুতের লাইন অপসরণ না করলে ওই পরিবারটি তাদের ঘরের বাকি কাজও করাতে পারছেন না । আর লাইনও চালু করতে পারছেনা। এতে করে প্রায় একমাস যাবৎ বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে আশপাশের ২০ টি পরিবার।
তাই ঘরের চালের উপর থেকে বিদ্যুতের লাইন অপসরন চেয়ে (২২জুন) ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা শরণখোলা পল্লী বিদ্যুতের দায়ীত্বে থাকা এজিএম কে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশকৃত আবেদনটি পাঠান। কিন্তু সুপারিশকৃত আবদেনটি উপেক্ষা করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে শরণখোলা পল্লী বিদ্যুতের এরিয়া জোনাল ম্যানেজার (এজিএম) মোঃ আশেকুর রহমান সুমন বলেন, একই বাড়ির আসমত আলী মোল্লার ছেলে আল আমিন মোল্লা তার জমিতে খুঁটি পুততে না দিলে লাইন অপসরন করা সম্ভব না। ওই দুই পরিবার সমঝোতা করলে লাইন অপসরন করে দেয়া যাবে ।
তবে, আল আমিন মোল্লা বলেন, আমার বাড়ির উপরে যেখানেই খুঁটি দিবে ভবিষ্যতে আমার ঘরের চালে একই সমস্যা তৈরি হবে । তাই এখান থেকে লাইন অপসরন করে সামনের রাস্তা দিয়ে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকেনা । তবে, আশপাশের পরিবারগুলো দ্রæত এর সমাধান চান এবং লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানান ।
বিদ্যুৎবিহীন ২০টি পরিবারের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্তকারী বিদ্যুৎকান্তি শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় এক মাস ধরে আমরা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকার কারণে আমার বসতঘরের কোন কাজ করতে পারছি না এবং ইউএনও মহোদয়ের সুপারিশকৃত আবেদনটি পল্লী বিদ্যুতের শরণখোলার এজিএম মোঃ আশেকুর রহমান সুমন কে দিলে তিনি বিষয়টি কোন সুরহা না করে বিভিন্ন প্রকার অযুহাত দেখান।