বঙ্গবন্ধু মানে বাঙালির বন্ধু

জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক : একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি, একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙ্গালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা ,অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।”
(অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ৩ মে ১৯৭৩)


বিজ্ঞাপন

“৬ দফা বা আমাদের অর্থনৈতিক কর্মসূচি ইসলামকে বিপন্ন করে তুলেছে বলে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে সে মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্যে আমি শেষবারের মতো আহ্বান জানাচ্ছি। অঞ্চলে অঞ্চলে ও মানুষে মানুষে সুবিচারের নিশ্চয়তা প্রত্যাশী কোনকিছুই ইসলামের পরিপন্থী হতে পারে না।”
(১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে রেডিও এবং টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে)

“এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান যারা আছে আমাদের ভাই, বাঙালি-অবাঙালি—তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের ওপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।”
(রমনা রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া ভাষণ, ৭ মার্চ ১৯৭১)

“এরপর যদি বেতন দেওয়া না হয়, এরপর যদি একটা গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়-তোমাদের কাছে অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।”
(রমনা রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া ভাষণ, ৭ মার্চ ১৯৭১)

“সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না।”
(রমনা রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া ভাষণ, ৭ মার্চ ১৯৭১)

“রক্ত যখন দিয়েছি, আরও রক্ত দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।”
(রমনা রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া ভাষণ, ৭ মার্চ ১৯৭১)

“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”
(রমনা রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া ভাষণ, ৭ মার্চ ১৯৭১)

“নতুন করে গড়ে উঠবে এই বাংলা,বাংলার মানুষ হাসবে বাংলার মানুষ খেলবে বাংলার মানুষ মুক্ত হয়ে বাস করবে বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে এই আমার সাধনা এই আমার জীবনের কাম্য আমি যেন এই কথা চিন্তা করেই মরতে পারি এই আশীর্বাদ এই দোয়া আপনার আমাকে করবেন।”
(পাকিস্তানে ৯ মাস কারাবরণ শেষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়ার প্রথম ভাষণে)

“দুর্নীতিবাজদের যদি খতম করতে পারেন তা হলে বাংলাদেশের মানুষের শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ দুঃখ চলে যাবে। এত চোরের চোর, এই চোর যে কোথা থেকে পয়দা হয়েছে তা জানি না। পাকিস্তান সব নিয়ে গিয়েছে কিন্তু এই চোর তারা নিয়ে গেলে বাঁচতাম। এই চোর রেখে গিয়েছে। কিছু দালাল গিয়েছে, চোর গেলে বেঁচে যেতাম।”
(১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া শেষ ভাষণে)