শরণখোলায় বিবাহ সভা থেকে বর যাত্রীর পলায়ন

সারাদেশ

নইন আবু নাঈম, বাগেরহাট : রান্নাবান্না সম্পন্ন। বরযাত্রীও হাজির। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর অপেক্ষায় সবাই। এমন সময় পুলিশ নিয়ে হাজির হলেন ইউএনও। মুহূর্তের মধ্যে বরযাত্রী উধাও। পণ্ড হয়ে যায় বাল্যবিয়ের আয়োজন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর ২টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের দেলোয়ার মোল্লার মেয়ে জান্নাতি আক্তার (১৫)। পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার বালিপাড়া এলাকার একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে সে। করোনার মহামারীতে মাদরাসাও বন্ধ। ঘরে বসে অবসর সময় কাটছে তার। এই অজুহাতে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে বিয়ের আয়োজন করে পরিবার।
পাত্র একই ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের অহিদুল তালুকদারের ছেলে তানভীর তালুকদার (১৮)। কয়েক বছর আগেই লেখাপড়া বন্ধ কেরেছে সেও। এখন সাংসারিক কাজবাজ করে। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। বরযাত্রীরা ১০-১২জন এসে বাড়ির পাশের একটি মসজিদে অপেক্ষা করছিল। কিছুক্ষণ পরই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরই মধ্যে ইউএনও এবং ওসি উপস্থিত হওয়ায় সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। প্রশাসনের টের পেয়ে বরযাত্রী মসজিদ থেকেই পালিয়ে যায়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, গোপন সূত্রে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এর আগেই বরসহ তাদের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করা হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের বাবা দেলায়ার হোসেন মোল্লাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না বলেও মুচলেকা দিয়েছেন মেয়ের বাবা।


বিজ্ঞাপন