বিধিনিষেধ শিথিলের আগেই যানজট

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিধিনিষেধ বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু একদিন আগেই মঙ্গলবার রাজধানীর সড়কগুলোর বিভিন্ন জায়গায় তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
গণপরিবহনগুলো না চললেও প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, জরুরি সেবা সংস্থার গাড়ি এবং খোলা থাকা অফিসের কর্মীদের বহনের গাড়িতে অনেকটাই পুরনোরূপে ফিরেছে রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যালগুলো। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও তা চলছে ঢিলেঢালাভাবেই।
লকডাউনের ১৩তম দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিধিনিষেধ পালনে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে নগরীর দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, আরামবাগ, কমলাপুর, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রায় একই রকম চিত্র পাওয়া গেছে।
ফকিরাপুলে দায়িত্বপালনকারী পুলিশ সদস্য ইসমাইল বলেন, আজ যানবহন আর রিকশার সংখ্যা বেশি দেখছি। রাস্তায় যানজটও আছে। প্রতি সিগন্যালে দুই থেকে তিন মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতো এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে, শুধু বাস চলছে না। এর ফলে রিকশায় কিছুটা চাপ বেড়েছে, অনেকে মালবাহী ভ্যানেও উঠে বসেছে গন্তব্যে পৌঁছতে।
ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট দেখা গেছে। প্রতিটি যানজটে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সিরাজুল ইসলাম বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ রাস্তায় প্রচুর মানুষ, যানবাহনের সংখ্যাও বেশি। অনেক রিকশা যাত্রী পরিবহন করছে। তদারকি কম থাকায় মানুষ অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করছে।
লকডাউনে মোটরসাইকেলে একজনের বেশি যাত্রী উঠলেই শুরু থেকে মামলা দিয়ে আসছে পুলিশ। এতদিন তাই মোটরবাইকের সংখ্যা বেশ কমই ছিল। তবে আজ মোটরসাইকেলগুলোতেও দুজন করে যাত্রী দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন