নিজস্ব প্রতিবেদক : আশপাশে পানি না থাকায় গাজীপুরে স্পিনিং মিলসে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীনুর ইসলাম। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অটো স্পিনিং কারখানায় মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে চারজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের ডিএনএ নমুনা রেখে গত বুধবার সন্ধ্যায় লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বড় গুদামের ওপরে তাপ শোষণের জন্য লাগানো ফোমজাতীয় দাহ্য ফলস সিলিং ও নিচে তুলা থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণের জন্য কারখানায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকলেও পানি মওজুদ রাখার মত রিজার্ভ ট্যাংকি ছিল না। এত বড় কারখানা ও গুদামের জন্য রিজার্ভ ট্যাংকির আয়তন ছিল কম। এ ছাড়া আশপাশে জলাধার না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি সংকটে পড়েন। তাই আগুন নেভাতে বিলম্ব হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। কারখানা ও গুদামের তুলনায় পানির মজুদ কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে অটো স্পিনিং মিলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হারুন-অর-রশিদ বলেন, আগুন নির্বাপনের সকল সরঞ্জাম ছিল। কিন্তু আগুনের ব্যাপকতা এত বেশি ছিল যে সেসব সঠিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। একই কারণে পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল।