নিজস্ব প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুরে ক্রাইম পেট্রল দেখে স্বামীকে হত্যা করার অপরাধে স্ত্রীসহ পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটা সময় কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম শৈলডুবী এলাকায় ছোফর উদ্দিন ওরফে ছাফুর নির্মাণাধীন ঘরের মাঝখানের রুমে বালুর নিচে জাহিদুল ইসলাম (৩০) এর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে কাশিমপুর থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার বড়কান্দি গ্রামের শুকুর আলী দেওয়ানীর মেয়ে এবং জাহিদুলের স্ত্রী রুপালী খাতুন,অপরজন হলেন, জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার নীলেরচর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোহাম্মদ সুজন মিয়া(১৯)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান বলেন, গত শুক্রবার ১৬ জুলাই, লাশটি উদ্ধার করার পরে কাশিমপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
এরপর মেট্রোপলিটন কাশিমপু পুলিশের একাধিক ট্রিম কুড়িগ্রাম জেলা এবং জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, জাহিদুলের স্ত্রী রুপালী খাতুনের ৮ থেকে ৯ মাসের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
ইতিপূর্বে রুপালী জাহিদুলকে ফেলে আসামি সুজন এর বাসায় টঙ্গীতে চলে যায় এবং জামালপুর জেলায় তার গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে বসবাস করে।
তিনি আরও জানান,আসামি রুপালী খাতুন প্রায় টিভিতে ক্রাইম পেট্রল দেখতো।
গত ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত রুপালী তার স্বামীকে মেরে ফলে সুজনের সাথে সংসার করার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন জাহিদুল ইসলাম রাত ১১ টা সময় বাসায় আসলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুপালী দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায়।
এরপর রাত ১ টা সময় সুজন ঘুমন্ত জাহিদুলের হাতপা চেপে ধরে এবং রুপালী তার বুকের উপর বসে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী দুইজন মিলে পাশের নির্মানাধীন ঘরের বালির নিচে চাপা দেয়।