নীলফামারী পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২সন্তানের জননী ফিরে গেল স্বামীর ঘরে

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : (ছদ্মনাম) মোছাঃ রিমু বেগম,গ্রামঃ ডিমলা( কুমার পাড়া),থানাঃ ডিমলা,জেলাঃ নীলফামারী। বিশেষ কারণে উক্ত নারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে তিনি (২৩ জুলাই/২০২১) তারিখ ডিমলা থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে কর্তব্যরত নারী অফিসারের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যে, তাহার স্বামী, ভাসুর ও শাশুড়ি সাংসারিক কাজ কর্মে তার কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে তাকে শারিরিক নির্যাতনসহ নিষ্ঠুরভাবে মারপিট করেন তারা।


বিজ্ঞাপন

সন্তানদের কথা চিন্তা করে বৈবাহিক জীবনের ০৮ টি বছর কেটে যায় তার এরই মধ্যে তিনি দুই সন্তানের জননী হন। নির্যাতনের মাত্রা সইতে না পেরে ইতিমধ্যে স্বামীর বিরুদ্ধে ০২টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

ঘটনার দিন গত (২১ জুলাই/২০২১) তারিখ রাত্রী অনুমান ৮.০০ ঘটিকার স্বামীর বাড়িতে উঠার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তিনি যে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন সেটি বিচারাধীন থাকায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ভক্ত নারী অসহায় হয়ে পড়েন কোন উপায় না পাইয়া ডিমলা থানার ডিউটি অফিসারের কাছে এসে সাহায্য প্রার্থনা করলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার তাকে নারী, শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে পাঠান।

ঘটনার বিস্তারিত শুনে কর্তব্যরত নারী অফিসার অফিসার ইনচার্জ, ডিমলা থানা নীলফামারীতে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত নারীকে আইনি সহযোগিতা করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

ঘটনাস্থলে জনাব এএসআই শাহিনুর রহমান’কে পাঠান। তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে উভয়পক্ষকে একত্রিত করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে অবশেষে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব বিশ্বদেব রায়ের নেতৃত্বে আলোচনার মাধ্যমে পারিবারিক বিরোধ মীমাংসা করেন। এবং তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করবে বলে অঙ্গীকার করেন।