মোস্তাফিজুর রহমান,সরিষাবাড়ী : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে সজীব (১৮) নামে এক বখাটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে তেমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়,সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা
ইউনিয়নের মোনারপাড়া গ্রামের উৎসবের বখাটে ছেলে সজীব (১৮)দক্ষিণ কুমারিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিলো।মোনারপাড়া গ্রামে নানা বাড়ীতে বেড়াতে আসার সূত্র ধরে বখাটে সজীবের চোখে পড়ে মেয়েটি।চোখে পড়ার পর থেকেই (সজীব)মেয়েটিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।যার কারণে মেয়েটি নানা বাড়ী বেড়াতে আসা বন্ধ করে দেয়।কিন্তু এতেও বখাটে সজীব ক্ষান্ত হয়নি।মেয়েটির বাড়ীতে গিয়ে উত্ত্যক্ত শুরু করলে এলাকাবাসী বখাটে (সজীব)কে আটক করে।এলাকাবাসী এবং পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।এরপর থেকে মেয়ের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বখাটে সজীবের ভয়ে শ্বশুর বাড়ীতে আসা বন্ধ করে দেয়।কিন্তু শ্বশুরের অনুরোধে ঈদে বেড়াতে আসে ভূক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক সহ তার পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার রাতেই বখাটে সজীবের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্জাকের শ্বশুর বসির উদ্দিনের বাড়ী ঘেরাও করে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অতঃপর এলাকাবাসী সোচ্চার হলে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।পরের দিন শুক্রবার সজীবের
লোকজন আব্দুর রাজ্জাককে বাড়ীতে পৌঁছানোর কথা বলে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং কিছুদূর আনার পর চকপাড়া গ্রামে তেমাথা মোড়ে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।পরে এলাকাবাসী এবং আব্দুর রাজ্জাক এর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.২৫ মিনিটে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আব্দুর রাজ্জাককে ভর্তি করে।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী রাজ্জাকের পিতা জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এই বখাটে সজীব দীর্ঘদিন ধরেই আমার নাতনীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো, এলাকাবাসীর হাতে ছেলেটি উত্ত্যক্ত করার সময় আটকও হয়েছিলো , সামস চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানাইছি কিন্তু তারা আমার সন্তানকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলা চালায়। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।