বিশেষ প্রতিবেদক : জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত মানুষকে সুস্থ করা, বিদেশে যাওয়ার সুব্যবস্থা, দাম্পত্য কলহ দূর, বিবাহের বাধা দূর করা, অবাধ্যকে বাধ্য করা, চাকরিতে প্রমোশন, কম দামে স্বর্ণ ক্রয়- এমন নানা বিষয় সমাধানের জন্য চটকদার বিজ্ঞাপন দিত কথিত জ্বীনের বাদশা আল আমিন।

বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মসহ কেবল নেটওয়ার্কের লোকাল চ্যানেলে এসব বিজ্ঞাপন প্রচার হত।

কেউ যোগাযোগ করলে নারী কণ্ঠে কথা বলে ফাঁদে ফেলা হত। পরে কথা অনুযায়ী কাজ না করলে প্রিয়জনের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত এই প্রতারক।
অবশেষে সিআইডির একটি দল গত মঙ্গলবার ৪ আগস্ট ভোলা থেকে প্রতারক আল আমিন এবং ঢাকা থেকে তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের দিকনির্দেশনায় চলে এ অভিযান।
সিআইডি সূত্র জানায়, প্রতারক চক্রের মূলোৎপাটনের লক্ষে সম্ভাব্য সকল তথ্য সংগ্রহ করে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হয়।
সিআইডির একটি চৌকস দল ভোলা জেলায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতা আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার দুই সহযোগী সম্পর্কে জানা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় দ্রুততম সময়ে অভিযান পরিচালনা করে এলআইসি’র একটি চৌকস দল মঙ্গলবার ভোর রাতে ডেমরা থেকে মো. রাসেল ও মো. সোহাগকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা একাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে গত ছয় মাসে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি জিনের বাদশা সেজে সারাদেশে প্রতারণা করে আসছিল। সিআইডি এ ধরনের জিনিস বাচ্চাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ক্লুলেস তথ্য বের করে আসল অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।