পরীমনির অন্ধকার জগতের সহযোগী নারী সম্পর্কে কি বললেন ডিবি কর্মকর্তা হারুন?

অপরাধ

আজকের দেশ রিপোার্ট : বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতার ঢাকাই সিনেমার আলোচিত- সমালোচিত ও রহস্যময়ী নায়িকা পরীমনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।


বিজ্ঞাপন

জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনির কাছ থেকে বেশকিছু ব্যাপক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।


বিজ্ঞাপন

পরীমনি চলচ্চিত্রের আড়ালে খারাপ ব্যবসা করতেন এবং এই ব্যবসাগুলোতে কারা তাকে পেট্রোনাইজ করেছেন, তাদের কথাও তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পরীমনির মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। পাশাপাশি আমরা তাকে আরও কয়েকটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, পরীমনি অন্ধকার জগতে পা দিয়েছেন।

এ পথে আসতে এক নারী তাকে সহযোগিতা করেছেন। সেই নারীকে আমরা খুঁজছি। তার বিষয়ে নজরদারিও করছি।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন আরও বলেন, ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনির সঙ্গে জিমি নামের এক তরুণ গিয়েছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব।

সেই নারীর নাম-পরিচয় জানতে চাইলে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, আমরা এ মুহূর্তে নামটি বলতে চাচ্ছি না।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে র‌্যাব অভিযান শেষে পরীমনিকে আটক করে। আটকের পর তাকে র‍্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরীমনিকে।

বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পরীমনির বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব-১ এর সদস্যরা।

এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বিষয়টি সবাইকে জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাত বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। আমি ভয় পাচ্ছি।

তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র‍্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি।

পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়।

এরপর র‍্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন ও তল্লাশি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ পরীমনিকে আটক করে র‌্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে বনানী থানায় পরীমনিকে হস্তান্তর করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র‌্যাব।

পরে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে নেওয়া হয়। বনানী থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় পরীমনিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা।

এর বিরোধিতা করেন নিলাঞ্জনা রেফাত সুরভীসহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালত তা নাকচ করে দেন। পরে পরীমনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।