বিজিবি’র অভিযানে ৬ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : গতকাল শুক্রবার ৬ আগস্ট, আনুমানিক বেলা ২ টার সময় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি’র একটি চৌকষ আভিযানিকদল বিওপি হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ পশ্চিম দিকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের করাইবুনিয়া নামক স্থানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাচারকৃত বিপুল পরিমান ইয়াবা লুকিয়ে রাখার খবর গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরে হানা দেয়। উক্ত স্থানে ব্যাপক তল্লাশী করে জঙ্গলে লুকায়িত অবস্থায় বস্থাভর্তি ১৬ কার্ট (প্রতি কার্টে ১০,০০০ পিস) সর্বমোট ১,৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৪,৮০,০০,০০০/- (চার কোটি আশি লক্ষ) টাকা। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গত ০১ জানুয়ারি ২০২১ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি টহলদল কর্তৃক ৮৩,৭৫,৪৬,৬০০/- (তিরাশি কোটি পঁচাত্তর লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার ছয়শত)

টাকা মূল্যের ২৭,৯১,৮২২ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ১৪৭ জন আসামী আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

৭০,০০০ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর রামু ব্যাটালিয়ন কর্তৃক ৭০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স’’ নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস এর মহামারীর মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিএ-৫৮০৩ লেঃ কর্নেল ইব্রাহীম ফারুক, এএসসি নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ঢাকা থেকে টেকনাফ পটেটো চিপস এবং চানাচুর নিয়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান ফিরতি পথে (চট্ট মেট্টো ট-১১-৫৬৬২) প্রচুর পরিমাণ ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকা গমন করবে।

উক্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক গতকাল শুক্রবার ৬ আগস্ট ২০২১ তারিখ আনুমানিক ৯ টার সময় মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে গমন করেন এবং মরিচ্যা বাজার ও মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে তল্লাশী কার্যক্রম জোরদার করেন। পরবর্তীতে মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে আনুমানিক ০৯৩০ ঘটিকায় কাভার্ডভ্যানটি আসলে তল্লাশীর জন্য থামানো হয়।

অধিনায়ক কর্তৃক চালক মোঃ শরিফ উল্লাহ (২৫), পিতা-মোঃ ফেরদৌস আলম, গ্রাম-চরদরবেশ, পোস্ট- উক্তর ওয়াবদা, থানা+জেলা-নোয়াখালী এবং হেলপার সাদ্দাম হোসেন (৩১), পিতা- আব্দুল আজিজ পলোয়ান, গ্রাম- চরআইচা, পোস্ট-দক্ষিণ চর আইচা, থানা-চরফ্যাশান, জেলা- ভোলাকে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তা অস্বীকার করে।

এতদপ্রেক্ষিতে মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের দ্বারা তাদেরকে এবং কাভার্ডভ্যানটি পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে তল্লাশী করা হলে চালকের কেবিনের মধ্যে বিশেষভাবে (কোমল পানীয়র বোতলের মধ্যে) লুকায়িত অবস্থায় ২,১০,০০,০০০/- টাকা মূল্যের ১৫ বোতলে (৫০০ এম এল) ৭০,০০০ পিস বার্মিজ ইয়াবা* উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২৫,০০,০০০/- টাকা মূল্যের ১ টি কাভার্ডভ্যান এবং ২০,০০০/- টাকা মূল্যের ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে চালক স্বীকার করেছেন যে, তিনি ঢাকা থেকে পটেটো চিপস, চানাচুর এসেছিলেন এবং ফেরার পথে তিনি টাকার জন্য ইয়াবাগুলি নিয়ে যাচ্ছিলেন। আটককৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য- ২,৩৫,২০,০০০/- (দুই কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা এবং ধৃত আসামী ২ জন।

আটককৃত আসামীদ্বয়কে (বাংলাদেশী নাগরিক) জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, কাভার্ডভ্যান এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তর করা হবে।

৪ লাখ ১০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার : গত ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ রেজুপাড়া বিওপি’র একটি চৌকষ আভিযানিক দল বিওপি হতে আনুমানিক ০৩ কিঃ মিঃ দক্ষিণ দিকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের করাইবুনিয়া নামক স্থানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাচারকৃত বিপুল পরিমান ইয়াবা লুকিয়ে রাখার খবর গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরে হানা দেয়। উক্ত স্থানে ব্যাপক তল্লাশী করে পাহাড়ে লুকায়িত অবস্থায় বস্তাভর্তি ৪১ কার্ট (প্রতি কার্টে ১০,০০০ পিস) সর্বমোট ৪,১০,০০০ (চার লক্ষ দশ হাজার) পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১২,৩০,০০,০০০/- (বারো কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা।

উদ্ধারকৃত বার্মিজ ইয়াবা নিয়ে বিওপিতে ফেরত আসার সময় চোরাকারবারীরা দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড এবং রামদা নিয়ে টহলদলের উপর আকষ্মিকভাবে আক্রমন করার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতঃ তাদের জান-মাল রক্ষার্থে চোরাকারীরদের লক্ষ্য করে ফায়ার করলে চোরাকারবারীরা দ্রুত পাহাড়ী গহীন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গত ১ জানুয়ারি ২০২১ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি টহলদল কর্তৃক ৭৮,৯৫,৪৬,৬০০/- (আটাত্তর কোটি পঁচানব্বই লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার ছয়শত) টাকা মূল্যের ২৬,৩১,৮২২ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ১৪৭ জন আসামী আটক করে।