বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষ রোপণ

অপরাধ

মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি
সোনার বাংলা সবুজ করি


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সবুজ দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এবার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি সোনার বাংলা সবুজ করি’ প্রত্যয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও পুনাক কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি সকল পুলিশ ইউনিটের সাথে একযোগে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইড কনফারেন্স রুমে আজ এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনাক সভানেত্রী জিশান মির্জা।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম-সেবা ভার্চুয়ালি উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

পরবর্তিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এর সদর থানায় সামাজিক বনায়ণ কর্মসূচীর আওতায় সম্মানিত পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম-সেবা ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ বরকতুল্লাহ খান বিপিএম-সেবা ,তানভীর মমতাজ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ), ,ইলতুৎ মিশ, উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ), জাকির হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর), আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক), মিজানুর রহমান , পিপিএম -উপ-পুলিশ কমিশনার (এস্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ), ফারজানা ইসলাম উপ-পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক এন্ড ট্রান্সপোট), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, সহকারী পুলিশ কমিশনারগণ, অফিসার ইনচার্জ সদর থানা সহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক), আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত।

বুধবার ১১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১ টায়, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক), কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে পুলিশ লাইন্সে যশোর পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক), আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক), সভানেত্রী মিসেস জিশান মির্জা।

এরপর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক), প্রধান উপদেষ্টা ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম(বার),।

“মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি”

একই সাথে মাননীয় আইজিপি মহোদয় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহবান করেন।

উক্ত কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোর পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক), আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পুলিশ লাইন্সে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও ভেষজ বৃক্ষরোপণ করা হয়।

রোপনকৃত বৃক্ষের নামঃ বারমাসি কাটিমন আম, আম্রপালি, আশ্বিনা আম, তেঁতুল, আপেল কুল/বড়ই, আমড়া, সফেদা, বেল, লটকন, হরিতকী, অর্জুন, আমলকী, দেশী নিম ও অ্যাভোকাডো।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসেস সানজিদা আহমদ এমি, সদস্য পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), যশোর, মিসেস মাছুমা আক্তার,সদস্য পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), যশোর, মিসেস খাদিজা ইসলাম সোনিয়া,সদস্য পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), যশোর, মিসেস জাকিয়া শারমিন লিজা,সদস্য পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), যশোর, মিসেস হাছিনা পারভিন মুক্তি,সদস্য পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), যশোর সহ যশোর পুনাক সদস্যবৃন্দ ও জেলা পুলিশ যশোরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

বুধবার (১১ আগস্ট) ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটের সাথে একযোগে নীলফামারী জেলা পুলিশ সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি উদযাপন করে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার এঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) উক্ত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি আয়োজন করে।

কর্মসূচি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ সূচনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী মিসেস জীশান মীর্জা।

এ সময় আইজিপি সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় বিশেষত ফলজ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি পশু-পাখি ও বৃক্ষের বৈচিত্র্য রক্ষা তথা উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল রক্ষায় বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বিশাল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে এক কোটি গাছ লাগানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনের জন্য সারাদেশে বাংলাদেশ পুলিশ ও পুনাক যে কর্মসূচি নিয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ কর্মসূচি দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, সমাজের জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পুনাক’র কার্যক্রমের প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে পুনাক বহুমাত্রিক সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সমাজ এবং পুলিশ পরিবারের কল্যাণে অনেক অবদান রেখে আসছে। করোনাকালেও দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পুনাক।

করোনাকালে কেন্দ্রীয় পুনাক প্রায় প্রতিরাতেই দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে। গত রমজানে প্রায় প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করেছে। কয়েকদিন আগে বঙ্গমাতার জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছে, এটি একটি অভিনব কর্মসূচি ছিল।

পুলিশ পরিবারের কল্যাণের পাশাপাশি এটাকে দেশ ও জাতির কল্যাণে পুলিশের গন্ডির বাইরে নিয়ে আসা একটি সাহসী পদক্ষেপ। তিনি এজন্য পুনাক সভানেত্রীসহ সকল নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আইজিপি বলেন, পুনাক’র কর্মসূচি সুধী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। দেশ, সমাজ ও পুলিশ পরিবারের কল্যাণে আগামীতে এসব কর্মসূচি আরও বেগবান করার হবে বলে প্রত্যাশা করেন আইজিপি।

পুনাক সভানেত্রী তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পুনাক একটি অলাভজনক, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে পুলিশ পরিবারের পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই।

আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে গত ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়ায় কম্বো মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। সেখানে তিন শতাধিক অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।

আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা থাকলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে আমরা একটি অনন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারবো।

তিনি বলেন, বৃক্ষ শুধু রোপণ করলেই হবে না। গাছের যত্ন নিয়ে পরিচর্যা করে একে বড় করে তুলতে হবে।

নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার, নীলফামারী মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম,পিপিএম , তাসমিয়া জান্নাত, সভানেত্রী, পুনাক, নীলফামারী,জেলা পুলিশের পক্ষ হতে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন।

এসময় জনসাধারণকে বৃক্ষরোপনে উদ্ধুদ্ধ করতে নীলফামারী জেলার পুলিশ লাইন্সে বারোমাসি কাটিমন আম,আম্রপালি আম,আশ্বিনা আম, তেঁতুল (টক), তেঁতুল (মিষ্টি), আপেল কুল/বড়ই, আমড়া, সফেদা, বেল, লটকন, হরিতকী, অর্জুন,আমলকি, দেশি আম সহ ইত্যাদি বৃক্ষ রোপন করা হয়।

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোছাঃ লিজা বেগম,সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা,পুনাক, নীলফামারীর সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ বাংলাদেশ পুলিশ ও পুনাক : ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার), ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ ও পুনাক এর প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ ও পুনাক সদস্যগণের অংশগ্রহণ।

বাংলাদেশ পুলিশ ও পুনাক আয়োজিত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি উপলক্ষ্যে পুলিশ সুপার, মুন্সীগঞ্জ আব্দুল মোমেন পিপিএম ও নুসরাত লায়লা, সদস্য পুনাক, মহোদয় মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে ফলজ, ভেষজ ও শােভাবর্ধনকারী বৃক্ষ রোপণ করেন। এসময় মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তা, পুনাক সদস্যগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সিএমপি’র বৃক্ষ রোপণ : পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক) ও বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে দেশব্যাপী শুরু হল সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দেশব্যাপী এক কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগকে সফল করতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি সোনার বাংলা সবুজ করি’ প্রত্যয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও পুনাক কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি সকল পুলিশ ইউনিটের সাথে একযোগে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

এর সাথে সমন্বয় করে পুলিশ নারী কল্যান সমিতি, সিএমপি, চট্টগ্রামের উদ্যোগে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও পুনাক, সিএমপির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শরমিন জাহান, সভানেত্রী, পুনাক, সিএমপি।

এসময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামীনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) মোঃ আমির জাফর সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও পুনাক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

“মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি সোনার বাংলা সবুজ করি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার, ১১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২ টায় পুলিশ সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষ থেকে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি শোকাবহ এই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

সেই সাথে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২৫ শে মার্চ কালরাতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করা সকল শহীদ পুলিশ সদস্যগণ সহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনকে, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

বাংলাদেশ পুলিশ, পুনাক(পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি) কর্তৃক দেশব্যাপী প্রায় এক কোটি গাছ লাগানোর গৃহীত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়ে এ সময় তিনি বলেন, পুনাক দেশের প্রায় সকল ইউনিটে পুলিশ পরিবারের কল্যাণসাধন ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।

আমরা দেখেছি করোনাকালে প্রায় প্রতিরাতেই পুনাক অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেছে, রমজান মাসে ইফতার বিতরণ করেছে, বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে টঙ্গিপাড়া গিয়ে সাধারণ ও অসহায় মানুষদের নিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা করেছে।

এ সময় তিনি পুনাক কর্তৃক গৃহীত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, এই কর্মসূচি সবুজ বাংলাদেশকে আরো সবুজতর করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করবে।

তবে অন্যান্য বৃক্ষের চেয়ে ফলজ বৃক্ষ বেশি রোপন করতে হবে যাতে করে পশুপাখি ও প্রাণী সম্পদের বৈচিত্র ফিরে আসে। তাই শুধু বৃক্ষরোপণ করলেই হবেনা বরং রোপিত বৃক্ষ নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

এ-সময় তিনি পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জাকে পুলিশ পরিবারের কল্যাণ ও সেবা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের কল্যাণ নিয়ে কাজ করার আহবান জাাানান।

অতঃপর বেলা ১২ টা ৪০ মিনিটে সারাদেশের ন্যায় একযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের নির্মাণাধীন পুলিশ লাইনস চত্বর, রুপাতলিতে বৃক্ষরোপণ এর মধ্য দিয়ে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অপারেশন এ্যান্ড প্রসিকিউশন এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার সদর দপ্তর মোহাম্মদ নজরুল হোসেন, ফয়জুন নাহার (সহধর্মিণী মোহাম্মদ নজরুল হোসেন), উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অপারেশন এ্যান্ড প্রসিকিউশন খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের, পুনাক বিএমপি উৎপাদন সম্পাদিকা ও সাধারণ সম্পাদিকা সুবর্ণা আক্তার সম্পা (সহধর্মিণী উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অপারেশন এন্ড প্রসিকিউশন খান মুহাম্মদ আবু নাসের), ক্রাইম অপারেশন এ্যান্ড প্রসিকিউশন রাসেল সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুনাক নেতৃবৃন্দ।