সমাজকল্যাণ পরিষদের অতিরিক্ত পরিচালকের সীমাহীন দূর্নীতি

অপরাধ অর্থনীতি এইমাত্র

ড. নুরুল আলমের খুঁটির জোর কোথায়?


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের কর্মরত অতিরিক্ত পরিচালক ড. নূরুল আলমের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩ বার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও টাকার জোরে পার পেয়ে যাবার এক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের কর্মরত অতিরিক্ত পরিচালক (ড. নূরুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক, উদ্ভিদ বিভাগ, পরিচিতি নং-৯০১৩) কে ২০১৮ সালের ০৪ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। উক্ত পদে পদায়িত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার সহজাত বহুমুখি অনিয়ম অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন যা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিতে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে অসৎ উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন-সম্মতি ব্যতিরেখে নির্মিতব্য সমাজকল্যাণ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে পদায়ন নিয়েছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের সকল আয়োজন ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন।
পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন শ্রেণীর অনুদান তার ব্যক্তিগত তহবিলের মত ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে অর্থ গ্রহণ করছেন এবং এ অনুদান ব্যবহার করে দেশব্যাপী তদবীর বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এছাড়া
পরিষদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিজস্ব ব্যক্তিগত লোকজন দেখিয়ে নিয়মিতভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দাপ্তরকি যাবতীয় ব্যয়-ক্রয় প্রক্রিয়ায় নিজস্ব লোক-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।
পরিষদের সকল যানবাহন তার চাকুরীজীবী স্ত্রীর সার্বক্ষণিক দায়িত্বসহ ব্যক্তিগত-পারিবারিক কাজে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে চলেছেন বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ।
সমাজকল্যাণ পরিষদকে তার ব্যক্তিগত কোম্পানীর মত ব্যবহার করছেন এবং পরিষদের কর্মচারীদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করেছেন।
পরিষদের কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ব্যক্তিগত বাসাবাড়ীর কাজে ব্যবহার করছেন এবং অসম্মতি জানালে নানান ভয়ভীতি হয়রানির মাধ্যমে কর্মচারীদের ক্ষতিসাধন করছেন।
ছুটির দিন এবং অফিস সময়ের পরও প্রতিনিয়ত অফিসে অবস্থান করে বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যসহ ব্যক্তিগত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়াও প্রশাসনের উর্দ্ধতন সম্মানীত কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের অসৎ সুবিধা নিয়ে আসছেন তিনি।
শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সুচতুর এ কর্মকর্তা চাকুরী জীবনে নিয়মবহির্ভূতভাবে মূল কর্মস্থলে (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) যোগদান না করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিচরণ করে অগাত সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ সফর করে প্রভাব খাটিয়ে বিল হিসেবে অর্থ গ্রহণ করেছেন। যা তদন্তেও প্রমাণিত এমনকি।
নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরী করে দাপ্তরিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে কর্ম পরিবেশ সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং সাধারণ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের মধ্যে রয়েছেন এবং সকলকে চাকুরী হতে অপসারণসহ নানামুখী ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এমন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় কোনভাবেই দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বেশ কজন অফিস ষ্টাফ অভিযোগ করেছেন।
তার এসব অসৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ কার্যালয়ের দুটি উপপরিচালকের পদই প্রভাব খাটিয়ে শূন্য করে রেখেছেন এবং প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তাই এখানে থাকতে পারছেন না।
সমাজকল্যাণে কাজ করে সুনাম অর্জনকারী ১৯৫৬ সালের ঐতিহ্যবাহী ও প্রতিষ্ঠানটি উপরোক্ত কর্মকর্তার নানামূখি অপতৎপরতায় আজ চরম ভাবমূর্তি সংকটে পতিত হয়েছে। এদিকে গত ১৮ ও ১৯ জুলাই জনৈক জামাল হোসাইন নামে এ ব্যক্তি ড. নুরুল আলম এর বিরুদ্ধে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ও সচিব এবং চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।