মানবতার ফেরিওয়ালা পিসি মো. শহিদুল্লাহ

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করে একের পর এক প্রশংসায় ভাসছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আনসার ক্যাম্পে প্লাটুন কমান্ডার মো. শহিদুল্লাহ। করোনাকালীন সময়ও হাসপাতালে আশা রোগীদের ট্রলিতে করে নিজেই হাসাপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। তার এমন মানবিক আচরণে হাসপাতালে আশা রোগীর স্বজনরা দারুণ খুশি। হাসপাতালে আশা মানিকনগরের তামিম বলেন, করোনাকালীন সময় এমন ভালো মানুষ পাওয়া দু:স্কর।
জানা যায়, মো. শহিদুল্লাহ ২০০১ সালে আনসার বাহিনীতে প্রশিক্ষন নিয়ে ২০০৪ সাল থেকে অংঙ্গীভুত হয়ে, ২০০৬ সালে সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এবং ২০০৯ সাল থেকে প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) হিসেবে বিভিন্ন কেপিআই সংস্থায় সততা, নিষ্টা ও সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৬/০৯/২০২০ সাল থেকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আনসার ক্যাম্পে প্লাটুন কমান্ডার পিসি হিসেবে নিরাপত্তার পালন করছেন। তিনি বলেন, মানবিক বিষয় বিবেচনা করে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ মানুষের জন্য করে। আমিও তা করে যাচ্ছি।
পুরস্কৃত করলেন মহাপরিচালক : বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি মুগদা ৫০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অঙ্গীভূত প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহকে প্রশংসনীয় কাজের জন্য পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন। গতবছর ১২ অক্টোবর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে কাভার্ডভ্যানে একটি এসিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নেয়ার সময় হাসপাতালের অঙ্গীভূত আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে কর্তব্যরত কয়েকজন আনসার সদস্য হাসপাতালের ওটিবয় আজিজুল হক মামুনকে আটক করেন। পরে মহাপরিচালক ১২ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরে সৌজন্যে সাক্ষাতের জন্য পিসি মো. শহিদুল্লাহকে ডেকে পাঠান। সাক্ষাত শেষে বাহিনীর মহাপরিচালক অঙ্গীভূত প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহকে সাহসী নেতৃত্বের জন্য পুরস্কার প্রদান করেন। পিসি শহিদুল্লাহকে যারা এই অভিযানে সহযোগিতা করেছেন সেই সকল অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদেরকেও পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আনসার (পূর্ব জোন) এর অধিনায়ক পরিচালক মো. কামাল হোসেন এবং উপ-পরিচালক (সমন্বয়) মো. সেফাউল হোসেন।
উল্লেখ্য গতবছর ১২ অক্টোবর ভোর ৫টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে কাভার্ডভ্যানে করে একটি এসিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নেয়ার সময় অঙ্গীভূত আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. শহিদুল্লাহ মালামাল গেট থেকে বের করার ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চান। ছাড়পত্র না থাকায় হাসপাতালের ওটিবয় আজিজুল হক মামুনকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং অন্য দুজন সদস্য পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মুগদা ৫০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রওশন আনোয়ার বলেন বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে দুজন পালিয়ে গেছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে মুগদা থানায় সরকারি সম্পদ চুরির অভিযোগে একটি মামলা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন