টেকনাফে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সোমবার ৩০ আগস্ট, রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ উত্তরে হাড়িয়াখাল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন পূর্বক কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে চিংড়ির ঘের ও বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে।

আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটে টহল দল ২ জন দুষ্কৃতিকারীকে নাফ নদী পার হয়ে হাড়িয়াখালের দিকে ১ টি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আসতে দেখে।

টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। উক্ত সময় সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বিজিবি সদস্যদের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে।

এমতাবস্থায়, টহলদলটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ পূর্বক সরকারী সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে বিজিবি টহলদল পাল্টা বর্ষণ করলে ইয়াবা চোরাকারবারীরা ভীত হয়ে গুলি করতে করতে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ডুব সাঁতার দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১টি ব্যাগ উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ১,২০,০০,০০০/-(এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।

ইয়াবা পাচারকারী/তাদের সহযোগীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।
তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।