সারাদেশে বিভিন্ন অপরাধে ৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

অপরাধ বানিজ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপির পরামর্শে এবং বাণিজ্য সচিব এর সার্বিক তত্বাবধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান /তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।


বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগরীর রামপুরা, বাড্ডা ও উত্তরা এলাকায় অধিদপ্তরের ৪টি টিম কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ মজুত ও এমআরপি মূল্যের অধিক মূল্যে ঔষধ বিক্রয়, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ রিয়েজেন্ট সংরক্ষণ এবং কসমেটিকস বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে আমদানিকারকের লেবেল/তথ্য বিহীন কসমেটিকস সংরক্ষণসহ অন্যান্য অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৯০,০০০ ( দুই লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকার বাইরে অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আরোপ করা হয়।

ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৪টি টিম কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য /ঔষধ বিক্রয়, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ, পণ্যের মোড়কজাতকরন বিধিমালা লংঘন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, ওজন ও পরিমাপে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭,৭৩,৫০০ ( সাত লক্ষ তিয়াত্তর হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

উল্লেখ্য, অভিযান পরিচালনাকালে ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবি কর্তৃক পরিচালিত সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাকসেল) মনিটরিং করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা আইন মেনে ও নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।

অনৈতিকভাবে ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের অভিযান/তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

ভোক্তা অধিকার মুন্সীগঞ্জের বাজার মনিটরিং : সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয় কর্তৃক মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

একটি ফার্মেসি, একটি পানির ফ্যাক্টরি ও একটি মুড়ির ফ্যাক্টরি তে মনিটরিং করা হয়।
ফার্মেসি তে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
পানির ফ্যাক্টরি তে দেখা যায়, কোন প্রকার লাইসেন্স ও অনুমোদন তারা গ্রহণ করেন নাই। পানির জাড়ের গায়ে উতপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, এম আর পি উল্লেখ করা হচ্ছে না।

মুড়ির ফ্যাক্টরি তে দেখা যায় মুড়ি তৈরি তে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করা হচ্ছে না। মুড়ির বস্তার গায়ে উতপাদনের তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এম আর পি উল্লেখ করা হচ্ছে না।

প্রতিষ্ঠান ৩টিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী মোট ২১০০০/- জরিমানা করা হয়।

গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অভিযানে সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ তদারকি মূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।