নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর বিকাল অনুমান ৩ টায় অত্র থানাধীন আম্বরখানা সাকিনস্থ ঘুর্ণি আ/এ ৩৬নং বাসায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়।

তখন ভিকটিম মোঃ শাহিরুল হক চৌধুরী (১৭) বাসার আইপিএস-এর ব্যাটারীর লাইন খুলে ডান হাতে বৈদ্যুতিক তার ধরে অন্য হাত দিয়ে আইপিএসএর ব্যাটারীতে পানি দিতে গেলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চলে আসে। তখন অসাবধানতা বশতঃ ভিকটিমের ডান হাত আইপিএস এর বৈদ্যুতিক তারের সহিত স্পর্শ থাকায় সে বিদ্যুৎ শক খেয়ে আইপিএস এর বৈদ্যুতিক তারের সহিত আটকে গেলে সে শোরচিৎকার করে।

চিৎকার শুনে ভিকটিমের মা মোছাঃ শিরিয়া আক্তার চৌধুরী (৪১) দৌঁড়ে এসে ছেলে মোঃ শাহিরুল হক চৌধুরী (১৭) কে আইপিএস এর বৈদ্যুতিক তারের সহিত আটকানো অবস্থায় দেখতে পায় তাকে কৌশলে বাঁশ দিয়ে কয়েকটি বারি মারে বৈদ্যুতিক তার হতে ছুটায় এবং তাৎক্ষণিক আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় তাকে প্রথমে আম্বরখানা ফ্রিডম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে সেখানকার ডাক্তার দ্রুত উইমেন্স হাসপাতালে নিতে বললে, ভিকটিমকে তাৎক্ষনিক উইমেন্স হাসপাতালে নিয়া যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম মোঃ শাহিরুল হক চৌধুরী (১৭) এর অবস্থা বিবেচনা করতঃ তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মোঃ শাহিরুল হক চৌধুরী (১৭) কে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানায় সংবাদ প্রদান করিলে তাৎক্ষনিক থানা এলাকায় ডিউটিরত অফিসার এসআই(নিঃ)/গৌতম চন্দ্র দাশ সঙ্গীয় ফোর্সসহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম মোঃ শাহিরুল হক চৌধুরী (১৭) এর মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।