বেশি রাত জাগাদের জন্য দূঃসংবাদ

উপ-সম্পাদকীয়/মতামত

শাহ কামাল সবুজ : মোবাইল শুধু বিনোদনের বাহন নয় গিলেও খাচ্ছে মানুষের জীবন। যাদের নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই তারাই এর ফাঁদে পরছে বেশি।
অধিক রাত জেগে যারা বিশেষ করে ২২ থেকে ৬০ বছরের যুবক যুবতীরা মোবাইলে ছবি দেখেন বা কাটুসকুটুস করেন তাদের জন্য খুব দূঃসংবাদ আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ার্ল্ড মেডিকেল জার্নাল বলছে, ৩৫ থেকে ৫০ হার্ট এট্যাকে মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বে হু হু করে বাড়ছে শুধু মৃত্যু নয়। বাড়ছে অপমৃত্যু। উত্তেজনা। উদ্ভট আচরণ। এমন কি ভাঙ্গছে সংসার, বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। পরকীয়া আর অসম প্রেমের কথা না হয় এখানে বাদই দিলাম।
মেডিকেল সায়েন্স বলছে প্রত্যকটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য দৈনিক ৮ থেকে ৬ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। যার নুন্যতম নিয়ম বেধে দেয়া হয়েছে ৫ ঘন্টা। এই নিয়মের ব্যত্যয় যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে তখন তার বিশ্রামের অভাবে শরীর ও মনে অবসাদ নেমে আসে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। উদ্ভট চিন্তা ভাবনায় মস্তিষ্ক আলোড়িত হয়। দু চোখে সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব থাকে। আর এসব থেকে শুরু হয় প্রেসার হাই, ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিস, উন্মাদনা, অসংলগ্ন আচরণ, কথাবার্তা এবং পরিনতিতে জটিল রোগ অথবা প্যারালাইজড অথবা অকস্মাৎ মৃত্যু অথবা আত্মহত্যা। যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে চলেছে। এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পরছে। যা মহামারী আকারে রূপ নিতে পারে ভবিষ্যতে।
অনেকে আবার অধিক রাত জেগে দিনে ঘুমুচ্ছেন। বলছেন ঘুম পুষিয়ে নিচ্ছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা এমন দাবী করছেন তারা মূলত একটা বিষয়ে ভুল করছেন রাতের ঘুম আর দিনের ঘুম এক নয়। রাতের ঘুম দেহ মনে প্রশান্তি দেয় শরীরের ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে আর দিনের ঘুম শরীরকে স্থুলকায় করে। মুখমণ্ডলকে ভারী করে। ত্বকে বয়স্ক ভাব এনে দেয়। গলার স্বরকে মোটা অথবা ফ্যাসফ্যাসে করে। মেজাজকে খিটখিটে করে দেয়। অন্যদিকে এর পারিপার্শ্বিক কুফল অনেক। দিনে অধিক ঘুমানোর কারণে পারিবারিক কলহ, অশান্তি, ও সামাজিক দূরত্ব বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে এটাও অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়।


বিজ্ঞাপন

অতএব নিজেকে নিজে কেয়ার করুন। নিজের গাইডে নিজে চলুন। আপনি যখন প্রাপ্ত বয়স্ক। আপনার যখন মেধা আছে। বুদ্ধি আছে তখন আপনি নিজেই নিজের নিরাপত্তায় যথেষ্ট।
আর যদি অবহেলা করেন। ভালো দিক গুলো মাথায় না রাখেন তাহলে আপনার খারাপ পরিনতি অপরিহার্য।