নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের চলচ্চিত্র ও নাট্য অঙ্গণের নেতৃবৃন্দ বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, উপদেষ্টা চিত্রনায়ক রুবেল, ডিপজল, আনোয়ার সিরাজী, টিভি পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সম্মিলিত জোট ফেডারেশন অভ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন-এফটিপিও সভাপতি মামুনুর রশীদ, ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলু, যুগ্ম সম্পাদক পিকলু চৌধুরী, টিভি প্রযোজক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, নাট্যকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না এবং প্রেজেন্টার্স প্লাটফর্মের সাধারণ সম্পাদক আনজাম মাসুদ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: মুরাদ হাসান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজান-উল-আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন। এফটিপিও নেতৃবৃন্দ এসময় মন্ত্রীকে তাদের অভিনন্দনপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
তথ্যমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড আমরা পয়লা অক্টোবর থেকে কার্যকর করেছি, এখন ক্লিনফিডই চলছে, যারা আগে ক্লিনফিড পাঠাতো না, ইতোমধ্যেই পাঠানো শুরু করেছে, বাকিরাও পাঠাবে। আমরা নতুন করে কাউকে আর সময় দেবো না। এখন থেকে যেসমস্ত চ্যানেল ক্লিনফিড হয়ে আসবে, তারাই শুধু সম্প্রচারের সুযোগ পাবে, বাকিরা পাবে না।’
দেশের গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষ, গণমাধ্যমকর্মী বিশেষ করে সম্প্রচার সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গণের সবাই আইন বাস্তবায়নের এ কাজে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি মহল এর বিরোধিতা করলেও সকলপক্ষ দেশ ও আইনের স্বার্থে অবস্থান নিয়েছে বিধায় এটি করা সম্ভব হয়েছে।
নাটক ও চলচ্চিত্রের শিল্পী ও নির্মাতা প্রতিনিধিদের বক্তব্যের সূত্র ধরে মন্ত্রী জানান, দেশের শিল্পী ও গণমাধ্যমের স্বার্থরক্ষায় আমরা সম্প্রতি বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে নির্মাতাকে দুই লাখ টাকা এবং সেধরণের বিজ্ঞাপনচিত্র প্রচারে টেলিভিশনগুলোকে বিজ্ঞাপন প্রতি বিশ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে দেয়ার বিধান করা হয়েছে। এটিও সরকার কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান এসময় সরকারের আইন প্রয়োগের উদ্যোগের পাশে থাকায় শিল্পী কলাকুশলী ও সকল গণমাধ্যমকর্মীকে ধন্যবাদ জানান।
এফটিপিও সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারের এ উদ্যোগ আইন না মানার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার একটি অনন্য নজির। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ বক্তারা বৈঠকে সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানান।