বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনিয়ম

অপরাধ

সরকারী টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট তিন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : বালাগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুর রকিব ভূইয়া এর বিরুদ্ধে সরকারী টাকা আত্মসাৎ ও দুই জন শিক্ষকের নিয়ম বহির্ভূত বেতন ভাতা প্রদান সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় উপ পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ও জেলা শিক্ষা অফিস তিন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকার সাধারন মানুষ ও অভিভাবক বৃন্দ।

অভিযোগে যা উল্লেখ করা হয়েছে অবিকল তা তুলে ধরা হলো; বালাগঞ্জ উপজেলার হাসামপুর ও গৌরিনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপ্তি চক্রবর্তী ও তার স্বামী গৌরিনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চঃদাঃ)  সন্তেুাষ চক্রবর্তী বিগত জানুয়ারী ২০১৯ইং হইতে উনার স্ত্রীর আইভিএফ চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই গিয়েছিলেন। অদ্যাবদি আঠারো মাস যাবত স্ব-বেতনে ভারত অবস্থান করছেন ।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মো: আব্দুর রকিব ভূইয়া (চঃদাঃ) এর সাথে সন্তেুাষ চক্রবর্তীর সম্পর্ক থাকায় তিনি দীর্ঘদিন যাবত দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় কোভিড ছুটিকালীন সময় সরকার নির্ধারিত কোন কার্যক্রম তাদেও বিদ্যালয়ে হয়নি।

এমনকি মাসিক বেতন বিলের এম.আরে জাল স্বাক্ষরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুর রকিব ভূইয়া (চঃদাঃ) তাদের বেতন ভাতা প্রদান করেছেন। তার বিনিময়ে তিনি তাদের কাছ থেকে কিছুটা অনারিয়াম নিয়ে থাকেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার (অসৎ, দূর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর) বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদানের পর থেকে শিক্ষা অফিস দূর্নীতির অভয়ারান্যে পরিনত হয়েছে এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস দূর্নীতি ও ঘুষের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করা হয়। অদ্যাবদি অসৎ উপজেলা শিক্ষা অফিসার অর্থ লোভে এই দুইজন শিক্ষকের মাসিক অনলাইনের বেতন ভাতা যতারিতি দিয়ে আসতেছেন।

এমনকি আরও অনেক শিক্ষকের চিকিৎসা ছুটি না দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে মাসিক অনারিয়াম নিয়ে তাদের বেতন ভাতাদি প্রদান করছেন। অসৎ শিক্ষা অফিসার সরকারী অর্থ ও বিভিন্ন ভ্যাট এর টাকা আত্মসাৎ করিয়া আসছেন ।

তাছাড়া সরকারী বিদ্যালয়ের স্লিপ, ক্ষুদ্র ও বড় ধরনের মেরামতের টাকার প্রত্যয়ন আনিতে গেলে শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রকিব ভূইয়াকে ঘুষ প্রদান না করিলে তিনি কোন টাকা দেন না। এমনকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলের বেতন নির্ধারনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে উন্নীত স্কেলের বেতন দেয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোর শিক্ষা অফিসার আব্দুর রকিব ভূইয়া (চঃদাঃ) এই দুইজন শিক্ষকের (ভারতের চেন্নাইতে জন্ম গ্রহনকারী যমজ দুইজন সন্তানের তথ্য) এবং ঐ দুইজন শিক্ষকের পাসপোর্টের তথ্য অনলাইনে বেতনের (ইএফটি) যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন করেন। বিলের বেতনের সিরিয়েল নং-(EFT)অনলাইন বেতন, সন্তোষ চক্রবর্তী (চঃদাঃ)বা(c.c)লেখা, সিরিয়েল নং-৮ নম্বর, দীপ্তি চক্রবর্তী(প্রঃশিঃ) সিরিয়েল নং-২৫ নম্বর।

প্রতিবেদনে আরোও জানা গেছে একাধীক প্রভাবশালীদের চত্রছায়ায় আব্দুর রকিব ভূইয়া প্রাথমিক শিক্ষা বালাগঞ্জ উপজেলাকে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করতে সক্ষম হয়েছেন।

গৌরিনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করে কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি তিনি ভারতে যাবেন এতটুকু জানি এবং আমার কোন প্রয়োজন হলে তা আমি ফোনে যোগাযোগ করে নিয়েছি ও প্রয়োজনে সহকারী শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়েছি।

এদিকে প্রধান শিক্ষক সন্তোষ চক্রবর্তীকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বাংলাদেশে ছিলাম, আমার কোন পাসপোর্ট নেই তাহলে ভারতে কেমনে যাব? আবারো বলেন আমি কোন কারনে চিকিৎসার জন্য কোথাও গেলে অসুবিধাটা কি? আবারো বলেন আমার ১৯ সালের পর থেকে আজবদি ২১ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি প্রমান হিসাবে আমার কাছে আছে, বলেন আমি বাংলাদেশে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলাম, মেডিকেলের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন ইউনানির ভাষায় মেডিকেল বলে আমি বাসায় চিকিৎসাধীন আবারো বলেন আমি কোন কারনে চিকিৎসার জন্য কোথাও গেলে অসুবিধাটা কি?

হাসামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপ্তি চক্রবর্তী এর সাথে ঘটনার সত্যতা জানতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনির স্বামী সন্তোষ চক্রবর্তী কল রিসিভ করেন এবং নানা ভাবে কথা না বলানোর তালবাহানা করে এড়িয়ে যান।

এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুর রকিব ভূইয়া কে গঠনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে তদন্ত করিতেছি এটা ঐ দুজন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।