বিশেষ প্রতিবেদক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান /তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
পেঁয়াজের মূল্য সহনীয় রাখতে রাজধানীর শ্যামবাজারের কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ- পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ- পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান এবং শ্যামবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পিঁয়াজের মূল্য, সরবরাহ ও মজুদ পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজের আমদানি মূল্য (এল সি) সংক্রান্ত কাগজপত্র, পেঁয়াজ ক্রয়ের পাকা রসিদ সংরক্ষণ,খুচরা পর্যায়ে পাকা বিক্রয় রসিদ প্রদান এবং মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এসময় শ্যামবাজারের কয়েকটি আড়ৎ পরিদর্শন করা হয় এবং পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
পাশাপাশি হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বেকারী এবং মিষ্টি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে মোড়কজাতকরন বিধি লংঘন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য তৈরি ও সংরক্ষণসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১,১৫,০০০/- জরিমানা করা হয়।
ঢাকাসহ সারাদেশে অধিদপ্তরের ১৮টি টিম কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৫৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,২১,০০০/- (তিন লক্ষ একুশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের আহবান জানান।
অধিদপ্তরের অভিযান /তদারকিকালে নিত্যপণ্যের মূল্য কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তিনি।