নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এ নিয়ে ঢাকায় বসেই অনলাইনে খেলা যাচ্ছে জুয়া। চলছে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসাও। আর এর লেনদেন হচ্ছে বিকাশ, নগদ, রকেট বা ভিসা, মাস্টারকার্ডে। প্রতিরোধে কোনো আইন না থাকায় মামলা করতে পারছে না পুলিশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ ১৭ অক্টোবর, ওমানে। এরই মধ্যে অনলাইনে ওয়ান এক্স বেট ও বেট থ্রি-সিক্সটি-ফাইভে সরব জুয়ারিরা। প্রথম বলে কত রান বা ওয়াইড হবে কি-না তা নিয়ে তুঙ্গে দর-দাম। আর এ টাকা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে।
শুধু বিদেশি নয়, মোস্ট বেট বিডি নামে কম্পানিও জুয়া ও ক্যাসিনো চালাচ্ছে দেশে। নাম-পরিচয় গোপন করে ক্লাউড স্পেইসে ওয়েব সাইট ও অ্যাপ খুলেছে তারা। লেনদেহ হচ্ছে বিকাশ-নগদ ও ব্যাংকের এটিএম কার্ডে।
তবে এ অপরাধে আইনের আওতায় আনার বিধান নেই ১৮৬৭ সালের পাবলিক গ্যামস্বিং অ্যাক্টে। নেটওয়ার্কিং, অ্যাপ ডেভলপার ও লেনদেনে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
আর এই জুয়ার টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো ঠিকানা বা পরিচালনাকারী না দেশে নেই তাই প্রতারণার জবাবদিহিও করতে হচ্ছে না। এছাড়াও শিগগিরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এদিকে, জুয়া বাবদ দিনে কী পরিমাণ টাকা মানি লন্ডারিং হচ্ছে তার কোনো হিসাব নেই সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে।