নিজস্ব প্রতিবেদক : রবিবার ১৭ অক্টোবর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারিয়া আজাদ এর নেতৃত্বে মিরপুর, পল্লবী ও ভাসানটেক এলাকায় খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন এবং খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এ সময় কাঁচাবাজার, রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকান, চায়ের টং ও ফুচকার দোকানে খাদ্য ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট খাদ্যকর্মীদের খাদ্য নিরাপদতা বিষয়ক বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে সচেতন করা হয় এবং জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মোবাইল ল্যাবরেটরিতে তাৎক্ষণিক খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এসকল কাজের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহ সহকারী মাসুদ রানা।
শেওড়াপাড়ার ইকরা রেস্টুরেন্টে ১ লাখ টাকা জরিমানা : রবিবার ১৭ অক্টোবর রবিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে ইকরা রেস্টুরেন্ট, শেওড়াপাড়া, মিরপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে ইকরা রেস্টুরেন্টে তারিখ ও প্রয়োজনীয় তথ্যবিহীন বোরহানির বোতল তৈরি করতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেই, একই ফ্রিজে কাঁচা মাংশ ও রান্না করা মাংশ রাখতে দেখা যায়, ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক নেই, ওয়াশরুম অস্বাস্থ্যকর, মাছির আধিক্য, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, ডাস্টবিন খোলা।
এ সকল অপরাধে ইকরা রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০ (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে মালিককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মালিক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।
ইকরা রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। ইকরা রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে।
অভিযানকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আব্দুস সালাম মৃধা, অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।