জন্মসনদ পেতে ভোগান্তি

বিশেষ প্রতিবেদন

সার্ভার জটিলতা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সার্ভার জটিলতায় জন্মসনদ পেতে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। শিশুদের স্কুলে ভর্তিসহ নানা প্রয়োজনে নিবন্ধন করতে পারছেন না নগরবাসী। অনেকে দিতে পারছেন না করোনার টিকা।
উত্তর ঢাকার ১২টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে হয়ে মহাখালীর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে। রোববার দিনভর এখানে জন্মনিবন্ধনের আবেদন জমা পড়ে প্রায় চারশ। কিন্তু, সারাদিনই বন্ধ ছিল সার্ভার। সন্ধ্যায় সার্ভার জটিলতা কিছুটা কমলেও আবেদনের বিপরীতে নিবন্ধন হয়েছে সামান্যই।
সিটি করপোরেশন জানায়, কিছুদিন ধরেই সার্ভার জটিলতার কবলে পড়তে হচ্ছে। মূল সার্ভারে সমস্যা থাকায়, সেবা দিতে পারছেন না তারা। এজন্য অসংখ্য আবেদন জমা পড়ে আছে। এদিকে, সার্ভার জটিলতার বিষয়ে জানে না দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস।
ডিএনসিসির অঞ্চল-পাঁচের কার্যালয়েও জন্মনিবন্ধন প্রত্যাশীদের জটলা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির সব অঞ্চলেই হচ্ছে ভোগান্তি। সময়মত জন্মনিবন্ধন না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।
জন্মসনদ নিতে আসা এক অভিবাবক জানান, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জন্মসনদ নেয়ার জন্য এখানে আসলেও সার্ভার কাজ না করায় প্রতিদিন ঘুরছেন। তিনি টিকা কার্ড দিয়ে তার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু জন্মসনদ বাধ্যতামূলক, লাগবেই। তাই প্রতিদিন পরিষদে এসে হয়রানী হয়ে ফিরছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার জন্যও দরকার হচ্ছে জন্মনিবন্ধন। আর নতুন নিয়মে ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের জন্মনিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধনও প্রয়োজন হচ্ছে। সিটি করপোরেশন বলছে, একসঙ্গে অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ার কারণে সার্ভার জটিলতা হচ্ছে।
এবিষয়ে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, এখানে আগে দিনে ২০টার মতো আবেদন পড়তো সেখানে এখন দিনে দুইশ টার বেশি আবেদন পড়ছে। এমনটা প্রায় সব পরিষদে জমা হচ্ছে বিধায় সার্ভার কিন্তু লোড নিতে পারছে না।
জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার নিয়ন্ত্রণ হয় রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস থেকে। সার্ভার জটিলতার বিষয়ে তথ্য নেই তাদের কাছে। জানা গেছে, শুধু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নয়, জন্মনিবন্ধন নিয়ে জটিলতা দেখা দিচ্ছে অন্যান্য সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদেও।


বিজ্ঞাপন