নিজস্ব প্রতিনিধি : বাস কনডাক্টর থেকে থেকে যেভাবে ৫০ কোটি টাকার মালিক হলেন শাহিরুল, কখনও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, কখনও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতো শাহিরুল। চাকরির লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নিতো টাকা।
অবশেষে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ধরা পড়লো র্যাবের হাতে। তাকে গ্রেফতারের সময় জব্দ করা হয় তিনটি বিদেশি পিস্তল, একটি শটগান একটি এয়ার রাইফেল, ২৩৭ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ম্যাগাজিন ও চাকরির ভুয়া আবেদনপত্রের ফরম, ভুয়া মানি রিসিট, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন।
শনিবার সকালে রাজধানীর বনশ্রী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকালে কাওরানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শাহিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৌখিন পরিবহনে কনডাক্টরের কাজ করতো। ২০০৩ সালে সিকিউরিটি সার্ভিসের দালালির কাজ শুরু করে। চাকরি দেওয়ার নামে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে তখন থেকে।
২০১৪ সালে নিজেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গার্ড সার্ভিসেস নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।
নিজেকে সেটার এমডি পরিচয় দিতো। প্রতারণা করতে নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও বলতো মাঝে মাঝে।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, সুযোগ পেলেই শাহিরুল বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে রাখতো। সেই ছবি দেখিয়েও চলতো প্রতারণা।
সম্প্রতি আউটসোর্সিং-এর কাজে কর্মী নিয়োগের কথা বলেও প্রতারণার জাল বোনে। প্রশিক্ষণের নামে অনেকের কাছ থেকে সম্প্রতি ১০ লাখ টাকার মতো হাতিয়েছে প্রতারক শাহিরুল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে, শাহিরুলের রাজধানীতে দুটি বাড়ি রয়েছে। দুটি ফ্ল্যাটও রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় আছে ২৩ কাঠা জমি। দুটি দামি গাড়িও আছে। সব মিলিয়ে তার কাছে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পেয়েছে র্যাব।