নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন রুটে চলা ৫৩ ফেরির ২০টিরই আয়ুষ্কাল শেষ। ২৭টির মেয়াদ থাকলেও ছয়টির বয়স ২০ থেকে ত্রিশ বছর। আর পাটুরিয়া ঘাটে উল্টে যাওয়া শাহ আমানতের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২ বছর আগে। ছিল না ফিটনেস সনদও। সবশেষ পয়লা জুন নামানো হয়েছে ডক থেকে।
অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ অনুযায়ী দেশের নৌপথে কোনো নৌযান চলতে পারে ৪০ বছর। শুরুতে নিবন্ধনের মেয়াদ ৩০, এরপর চলাচলের উপযোগী থাকলে ৫ বছর করে দুই দফায় মেয়াদ বাড়ে ১০ বছর।
আইন অনুযায়ী পাটুরিয়ায় উল্টে যাওয়া শাহ আমানতের মেয়াদ শেষ দুবছর আগে। এটি ছাড়াও এ অবস্থায় আরও ১৯টি ফেরি। এসবের নেই ফিটনেস সনদও। তারপরও চলছে নানা রুটে। এর আগে পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়া চার ফেরির একটিরও ফিটনেস সনদ ছিলো না।
মেয়াদহীন পুরোনো ফেরির চলাচল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলছে, স্বল্পতার কারণেই এসব ফেরিতে গাড়ি পারাপার চলছে। চালোনো হচ্ছে সংস্কার করেও।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় এরই মধ্যে পরিত্যাক্ত হয়েছে ৫টি ফেরি। ঘাটতি পূরণে নির্মাণাধীন ১২টি। সেসব ডক থেকে নামলে পুরোনোগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
ফেরি মজবুত হলেও জানমালের নিরাপত্তার জন্যই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেয়ার তাগিদ নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিশেষজ্ঞ বুয়েটের নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, আরিচা-পাটুরিয়াসহ এখন ফেরি চলাচল করছে ছয় রুটে।