নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে আরও এক হাজার ৭১২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৫০ জনই রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক হাজার ৭১২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫১৩ জন। এর আগে, গতকাল বুধবার ১৭ হাজার ১৮৩ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, এর আগে, ২৫ জুলাই ৫৪৭ জন, ২৬ জুলাই ৩৯০ জন, ২৭ জুলাই ৬৮৩ জন, ২৮ জুলাই ৮২৪ জন এবং ২৯ জুলাই ১০৯৬ জন, ৩০ জুলাই ১৩৩৫, ৩১ জুলাই ১৪৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২২ জন রয়েছে ঢাকা মেডিকেলে। নতুন-পুরনো মিলিয়ে বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৭০৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৩৭, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৩২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩২২, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১৯৭, বারডেম হাসপাতালে ৫৭, বিএসএমএমইউতে ১২৭, পুলিশ হাসপাতালে ১৬৫, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮৭, বিজিবি হাসপাতালে ৩০, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩০৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বমোট চার হাজার ৩৩২ জন ভর্তি আছে, এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬২৪ জন।
রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১৪৫ জন, তাদের নিয়ে মোট চিকিৎসাধীন আছে ২৭৬ জন।
এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে নতুন ডেঙ্গু রোগী ৯৮ এবং চিকিৎসাধীন ১৫৩ জন, খুলনা বিভাগে নতুন ৭৬ এবং চিকিৎসাধীন ১৮৩ জন, বরিশাল বিভাগে নতুন ৬৩ জন এবং চিকিৎসাধীন ১৫১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নতুন ৬২ এবং চিকিৎসাধীন ১৯৮ জন, রাজশাহী বিভাগে নতুন রোগী ৫৮ এবং মোট চিকিৎসাধীন ২১৪ জন, রংপুর বিভাগে নতুন রোগী ৩৩ এবং মোট চিকিৎসাধীন ১৪৬ জন, সিলেট বিভাগে নতুন শনাক্ত ৩১ জন এবং মোট হাসপাতালে ভর্তি ৮৯ জন।