জাতীয় চার নেতার সংক্ষিপ্ত জীবনী

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : সৈয়দ নজরুল ইসলাম(১৯২৫-১৯৭৫)
১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার যশোদল দামপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে এমএ এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন ।
১৯৬৬-৬৯ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


বিজ্ঞাপন

তাজউদ্দীন আহমদ(১৯২৫-১৯৭৫)
১৯২৫ সালে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৫২ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনকালে গ্রেফতার হন এবং কারা নির্যাতন ভোগ করেন।
১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।
১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

মোহাম্মদ মনসুর আলী(১৯১৯-১৯৭৫)
১৯১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের ‘কুড়িপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৫ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ এবং ল’ পাস করেন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এএইচএম কামারুজ্জামান(১৯২৬-১৯৭৫)
১৯২৬ সালের ২৬ জুন নাটোর মহকুমার বাগাতীপাড়া থানার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৬ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স পাশ করেন এবং রাজশাহী আইন কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৭ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন৷

এই চারজনকেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় জেলে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে খুনি মোশতাকের জল্লাদেরা। তাঁদের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।