উৎসাহ নিয়ে টিকা নিচ্ছেন কড়াইল বস্তির বাসিন্দারা

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ (বুধবার) করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। উৎসাহ নিয়ে টিকা নিচ্ছেন বস্তির বাসিন্দারা। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই বস্তিতে টিকা কার্যক্রম চলবে। মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে কড়াইল বস্তিতে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিনই ছয় হাজার ৩২১ জনকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই টিকা নিতে পারছেন।
ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, স্বল্প সময়ের মধ্যে বস্তিবাসীকে টিকার আওতায় আনতে কড়াইল বস্তিতে এই টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখন বস্তির ২৫টি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। বস্তির কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষের কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কড়াইল বস্তিতে যে ২৫টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলছে, তার মধ্যে একটি কেন্দ্র কড়াইল বস্তি উন্নয়ন কমিটির অফিস। বুধবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে বস্তির লোকজন। একেক করে তারা কেন্দ্রে ঢুকছেন, আইডি নম্বর দিয়ে টিকা নিচ্ছেন। এর মধ্যে যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই তারা জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি নিয়ে টিকা নিচ্ছেন। তাদের সহায়তা করছেন রেড ক্রিসেন্টের ঢাকা জেলার সদস্যরা।
টিকা নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কড়াইল বস্তির বাসিন্দা মাজেদা বেগম বলেন, করোনা টিকা কীভাবে এবং কোথায় নিতে হয় তা জানা ছিল না। এখন বাড়ির পাশেই সরকার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই টিকা নিতে পারছি।
এই কেন্দ্রে করোনা টিকা কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন রেড ক্রিসেন্টের ঢাকা জেলা ইউনিটের সদস্য আসাদুল হাসান শিশির। তিনি জানান, গতকাল এই কেন্দ্র থেকে চার শতাধিক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই শতাধিক লোক টিকা নিয়েছেন। আশা করি বিকেল পর্যন্ত এই সংখ্যা ৫০০ ছাড়াবে।
তিনি বলেন, বস্তির বাসিন্দারা শুধু ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসলেই আমরা টিকা দিচ্ছি। তারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর টিকা সনদ পাবেন। আর যারা জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে টিকা নিচ্ছেন, তারা সনদ পাবেন না।
কড়াইল বস্তিতে ওই ২৫টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় সমন্বয় করছেন রেড ক্রিসেন্টের ঢাকা বিভাগীয় উপ-প্রধান মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বস্তির ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। গতকাল থেকে আজ মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। মানুষ বেশি সাড়া দিলে টিকা প্রদানের দিন আরও বাড়ানো হবে।


বিজ্ঞাপন