মেঘনা-পদ্মা নামে বিভাগ হবে

জাতীয়

একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লাকে ‘মেঘনা’ ও ফরিদপুরকে ‘পদ্মা’ নামে বিভাগ করার বিষয়ে আবারও মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই মত দেন বলে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান। একনেক সভায় মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভায় ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার সময় কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ করার ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভায় কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগের বিষয়ে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মেঘনা নদীর নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ করার কথা বলেছেন তিনি।
একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন : সংশোধিত মডেল মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৮২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩ হাজার ৬১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এলডিসি উত্তরণে যে সংস্থা জাতিসংঘের সেই কমিটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। গত মাসে জাতিসংঘে আমাদের দ্বিতীয়বার সুপারিশ করেছে। এলডিসি উত্তরণে তিনটি সূচকে আমরা ‘এ প্লাস’ পেয়ে পাস করেছি। করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছি। এখন ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। বিশেষ করে মাস্ক পড়তে হবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রকল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ডিজিটাল লিডারশিপ তৈরি হবে। উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে ২০ হাজার যুবক ও যুব মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিজিটালাইজেশন, ডিজিটাল ইকোনমিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।’
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মোংলা বন্দর থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুর) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইফনিট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১৩ কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ডিজিটাল গর্ভানমেন্ট ও অর্থনীতি সমৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা।