নিজস্ব প্রতিনিধি : মঙ্গলবার বন্দর থানা বিএমপি কর্তৃক “ওপেন হাউজ ডে ” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ওপেন হাউজ ডে’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার।
প্রতিমাসের ৪ তারিখ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানা , ৭ তারিখ কাউনিয়া থানা , ১০ তারিখ এয়াপোর্ট থানা ও ১৩ তারিখ কোতয়ালী মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয় । পুলিশ কমিশনার সহ শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিটি থানায় গিয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে,জনসাধারনের কথা শুনেন।থানা এলাকার সাধারণ মানুষও এই ওপেন হাউজ ডে’র দিন উপস্থিত থাকেন।
প্রধান অতিথি , বিগত ওপেন হাউজ ডে সভার কার্যবিবরণী তথা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আগত ভুক্তভোগীর কথা সরাসরি শুনে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, এই ওপেন হাউজ ডে’তে আমরা তিন ধরনের আবেদন গুরুত্ব সহকারে শুনে থাকি ; ভুক্তভোগীর কথা শুনি, সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ জনগণের গঠনমূলক পরামর্শ শুনি এমনকি আমাদের কোন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিয়ম রয়েছে কিনা তা সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে শুনে থাকি এবং সেই অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থা সকলের সামনে পর্যালোচনা করে থাকি।তাই, নিজ ও প্রতিবেশীকে ভালো রাখতে অপরাধ দানাবাঁধার আগেই এখানে এসে বেশি বেশি তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
এমনকি আমাদের আচরণে সাধারণ জনগণ বা সেবা প্রত্যাশী ভুক্তভোগীর প্রতি অনিয়ম-দুর্নীতি,অনাস্থার নেপথ্যে কেউ থাকলে মুখ বুজে না থেকে সরাসরি বা গোপনে বলুন।
উন্নত নিরপেক্ষ পুলিশিং দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নির্মোহ দৃষ্টিতে পেশাদারিত্বের সাথে কাজের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তা চোখে আঙুল দিয়ে জনগণকে দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি।
সমাজের অপরাধ চিত্র বদলে দিতে, সমাজে অপরাধ দানাবাঁধার আগেই তা প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যগণ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
কমিউনিটি পুলিশিং পূর্ণাঙ্গ অরাজনৈতিক, সামাজিক একটি প্লাটফর্ম, সমাজের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবর্গ সহ এখানে আস্থাশীল আগুয়ান ভালো মানুষ থাকতে পারবে।
পুলিশ মহাপরাক্রমশালী কোন গয়েবি বস্তু নয় বিধায় সামাজিক শক্তি তথা জনগণের সহযোগীতা ছাড়া যাবতীয় অপরাধ নির্মূলে সফল হতে পারে না। জনতা পুলিশ দুয়ের সমন্বয় প্রয়োজন।
মাদকের বিষবৃক্ষ দমনে আমরা যথেষ্ট এগিয়ে আছি, সমাজের সকলের অংশগ্রহণে নবউদ্যোগে মাদক উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম আরও বেগবান করতে চাই, আপনাদের আন্তরিকতা কাম্য।
এই ওপেন হাউজ ডে-তে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মতবিনিময় করলে সামাজিক ও জাতীয় স্বার্থ হাসিল হয়।
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিএমপি ক্রাইম এন্ড অপারেশন মোঃ এনামুল হক বলেন, সমাজের সর্বস্তরের অপরাধ দানাবাঁধার আগেই আমাদের তথ্য দিয়ে পাশে থাকুন, বিশেষ করে স্থানীয় জনগণ, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ধরে সহায়তা করলে আমরা মাদক শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি, আর তাহলেই জুয়া, চুরি সহ নানাবিধ অপকর্মগুলো কমে আসবে, এজন্য আমরা সজাগ থেকে কাজ করছি, আপনারাও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সাহায্য করুন, সমাজের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও নানান অসঙ্গতির তথ্য আমাদের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসলে আপনাদের নিরাপত্তায় আমাদের কাজ করা আরও সহজ হবে।
বিশেষ অতিথি উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর বিএমপি মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি অভিযোগ সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা সহ আমাদের নিয়মিত অভিযানিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবে পারিবারিক ভাবে সোচ্চার হয়ে আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচএম আব্দুর রহমান মুকুল পিপিএম এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর বিএমপি শেখ মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী পুলিশ কমিশনার কাউনিয়া থানা (অতিঃ দাঃ) বিএমপি রবিউল ইসলাম শামীম সহ কাউনিয়া থানার অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, সুশীল সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধি ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ।