নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহীর মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে সম্প্রতি ‘রাজশাহী বিভাগীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলন ২০২১’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহীর সম্মানিত প্রিন্সিপাল খন্দকার গোলাম ফারুক (অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক), বিপিএম (বার), পিপিএম। বিশেষ অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহীর অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং) মোঃ মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি (কারিকুলাম) নওরোজ হাসান তালুকদার, পুলিশ সুপার (প্রবেশনার ট্রেনিং) মোঃ আনিছুর রহমান, পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ড. মোঃ আব্দুস সোবহান ও রাজশাহী বিভাগীয় সরকারী গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মোকবুল হোসেন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের মহাসচিব নাসিম আহমেদ। উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি মোঃ ইমাম হোসাইন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পুলিশের সাবেক এআইজি ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি মালিক খসরু, পিপিএম।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা- নাটোর, পাবনা, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বেসরকারী গণগ্রন্থাগারসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বইপড়া আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন। এতে বইপড়া আন্দোলনকে বেগবান করায় ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৮ জনকে ‘সেরা সংগঠক’ এবং ৩ জনকে ‘সাদা মনের মানুষ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
‘সাদা মনের মানুষ’ সম্মাননা প্রাপ্তদের একজন হলেন প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ। তার বাড়ি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায়। তিনি সিংড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ মাস্টারের কনিষ্ঠ পুত্র এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের ছোট ভাই। প্রকৌশলী জুনায়েদ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে এম.এস.সি ও বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে বিএসটিআই-তে কর্মরত আছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি এবং সমাজসেবামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন বেশকিছু পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ছিলেন এবং ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ভয়েস’ এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, আই.ই.বি, রিওসা, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি সহ আরও অনেক সংগঠনের আজীবন সদস্য হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। তার লেখা বহু গল্প ও কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। তার সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পের বই ‘জোনাকী পোকা’, উপন্যাস ‘কাশেম আলীর রেডিও’ এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থ ‘কে তুমি গহীনে ডাকো’। ইতিপূর্বে তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ কবি-লেখক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘কৃতি কবি-লেখক ও গুণীজন সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে নাটোর জেলা থেকে ‘সেরা লেখক ও সংগঠক’ মনোনীত হয়ে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তিনি চলনবিল পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্র অঞ্চলের প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রেখেছেন।