নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ পাবনা জেলার আতাইকুলা থানাধীন গঙ্গারামপুর গ্রামের ভূক্তভুগী স্বর্ণালী খাতুনকে বোকা বানিয়ে প্রায় এক প্রতারক চক্র ১,১৯,০০০ (এক লক্ষ ঊনিশ হাজার) টাকা তার নিকট থেকে হাতিয়ে নেয়।
ফলে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার মামলা নং- ০৯, তাং- ২৪/০৭/২০১৯ খ্রিঃ, ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ জুয়েল শেখ (২২), পিতা-মোঃ নায়েব আলী শেখ, উজ্জল বালা (২১), পিতা-কৃষ্ণ বালা, উভয় সাং-বাঘুটিয়া, থানা-বালিয়াকান্দি, জেলা-রাজবাড়ীদ্বয়ের বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তে মূল হোতা হিসাবে আসামী শ্রী তাপস মন্ডল (২৫), পিতা- মৃত তরুন কুমার মন্ডল, সাং- ডুমাইন, থানা- মধুখালী, জেলা- ফরিদপুর এর নাম উল্লেখ করেন।
উক্ত আসামী ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার মামলা নং- ১৮, তারিখ- ২৭/১০/২০২১, ধারা- ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৩/২৪/৩০/৩৫ মূলে ফরিদপুর জেলার মধুখলী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে গত ২৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে ফরিদপুর জেল হাজতে সোর্পদ্দ করেন। উক্ত আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় তাকে সূত্রে বর্নিত মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত উক্ত আসামীকে অত্র মামলায় গ্রেফতারের আদেশ দেন।
গত ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল প্রতারক চক্র দুপুর অনুমান ১২ টার সময় উক্ত আসামী বাদীনির ০১৭২৩-৩৮৯৫৭৮ মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে সে বিকাশ অফিস থেকে বলছি। আপনার বিকাশ হিসাব নম্বর বন্ধ হয়ে গেছে। আপনার মোবাইলে বিকাশের একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড গিয়েছে সেটা বলেন।
তখন বাদিনী মেসেজে আসা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড তাকে জানায়। প্রতারক তখন বলে আপনি নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট সেন্টারে গিয়ে আপনার নতুন পিন ১৪০০০ এবং একই পরিমান টাকা তার হিসাব নম্বরে ক্যাশ ইন করতে বলে।
এভাবে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করে বাদীনির সরলতার সুযোগ নিয়া কৌশলে বাদীনির নিকট হতে সর্বমোট ১,১৯,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিকটিম স্বর্ণালী খাতুন এজাহার দায়ের করলে আতাইকুলা থানার মামলা নং-০৯, তারিখ- ২৪/০৭/ ২০১৯ খ্রিঃ, ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি প্রথমে পাবনা সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পরবর্তিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার নির্দেশে উক্ত মামলাটির পিবিআই, পাবনা গত ২৫ মার্চ ২০২০ সালে তদন্তভার পেয়ে তদন্ত শুরু করে।
ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই, পাবনা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ ফজলে এলাহী এর সার্বিক সহযোগীতায় মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ গোলাম মোক্তাদী মামলাটি তদন্ত করেন।
এ বিষয়ে পিবিআই পাবনা ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার মোঃ ফজলে এলাহী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ গোলাম মোক্তাদী বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
প্রতারক চক্রটি সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ফোন করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক চক্রটির আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
গ্রেফাতারকৃত আসামীকে গত শনিবার ২৫ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ্দ করা হলে তারা বিকাশ প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং পলাতক আরো দুইজন আসামীর নাম প্রকাশ করেছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চালনা হচ্ছে।