মহাপরিচালক সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব, সিআইডি, ডিবি, এন এস আই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নেতৃত্বের সাথে নকল ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ গোপনীয় বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকের প্রতিপাদ্য বিষয়-ই ছিলো জীবন রক্ষাকারী ঔষধের নকল ভেজাল বন্ধ করা। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হারবাল ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানির মালিকদের নকল ভেজাল একাধিক সিন্ডিকেট তাদের নকল ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র কতিপয় সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের ছত্র-ছায়ায়। একাধিক ওই গৃহপালিত সেনার ডিম দেওয়া নকল ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকারী সিন্ডিকেট কে লালন পালন করছেন হাতে গোনা ক’জন কর্মকর্তা।
ঔষধ শিল্প মালিক ও ঔষধ ব্যাবসার সাথে জড়িত একাধিক সুত্রের দাবি সেইফকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানির কারখানায় তৈরি ও বাজারজাতকৃত সকল ঔষধ তৈরির সময় শুধুমাত্র কালার, ফ্লেবার ও কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হচ্ছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকা অনুযায়ী সেইফকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানী যে সকল ঔষধ তৈরি করছে তার মধ্যে, পুদিনা সেইফ (আরক-পূদিনা) সিরাপ,আমলা সেইফ ( শরবত আমলা) সিরাপ, সেইফ জিনসিন (শরবত জিনসিন) সিরাপ, সেফ লিকো ( শরবত নিসওয়ান) সিরাপ, সেফ বাসক (শরবত বাসক) সিরাপ, সেফ টোন (শরবত মভেজ) সিরাপ, সাফেনটা (সুফুফ হুমুজিন) সিরাপ, সেফটিন (কূরছ কুমুনী) ট্যাবলেট, রিউসেফ ( হাব্বে তিনকার) ট্যাবলেট, সেফনিক্স ( হাব্বে ই পাপিতা) ট্যাবলেট, সেফ্র ( হাব্বে সুরঞ্জন) ট্যাবলেট,
সেফসুরাল্ড ( কোস্তা খারে মহরা) ট্যাবলেট, ডায়াসেফ ( সুফুফ গুরমার) ট্যাবলেট, জিংগার ( জিংগার) ক্যাপসুল, সেফাজামিয়ান ( লাউক আস্থামিন) ক্যাপসুল, সেফিলো ( কূরছ রুহবারব) ক্যাপসুল, গ্যানোসেফ ( অশ্ব গন্ধা) পাউডার, সেফআজওয়ান ( আরক আজওয়ান) সিরাপ, সেফডল ( আরক বোখার) সিরাপ, সেফ মাউল লাহাম ( আরক মাউল লাহাম) সিরাপ, ডিউলেক্স (হাব্ব মুমসিক) ট্যাবলেট, নিশাত সেফ ( হাব্বে নিশাত) ট্যাবলেট, সেফ জেড ( হাব্বে জদওয়ার) ট্যাবলেট, সেফ মুছাফফি (হাব্বে মুছাফফি) ট্যাবলেট, ইডেক্স (হাব্বে জালিনুশ) ট্যাবলেট, সেইফ কুরুছ প্লাস ( কুরুছ মুকাব্বি খাছ) ট্যাবলেট, সিটলেক্স প্লাস ( হাব্বে ই আম্বারি) ক্যাপসুল, পি আর প্লাস (হাব্বে ই আম্বার মেমিয়ায়ী) ক্যাপসুল, সেইফ মুনইশ ( হাব্বে ই মুনিশ) ক্যাপসুল, সেফম্যাক্স (হাব্বে ই জহওয়ার) ক্যাপসুল, ডিসেন্টি সেফ ( কুরুছ পেচিশ) ট্যাবলেট, গ্যাসটোনা ( সুফুফ হুমুজিন) ট্যাবলেট, মাল্টিসেফ ( হাব্বে ই হায়াতিন মুরাক্কাব জওহীরদার) ট্যাবলেট, জিনসেং এস (জিনসেং) ক্যাপসুল, প্রভিন চিরতা ( চিরতা) ক্যাপসুল, সেফ স্পিরুলিনা ( স্পিরুলিনা), ক্যাপসুল, সেফ স্পিরুলিনা (স্পিরুলিনা) ট্যাবলেট, নাইজেলা এস ( কাল জিরা ওয়েল) ক্যাপসুল, শরবত মুছাফফি (শরবত মুছাফফি) সিরাপ, শরবত নিসওয়ান ( শরবত নিসওয়ান) সিরাপ, শরবত ফওলাদ ( শরবত ফওলাদ) সিরাপ, শরবত দিনার ( শরবত দিনার) সিরাপ, শরবত জিনসিন (শরবত জিনসিন) সিরাপ, শরবত মিছালি ( শরবত মিছালি) সিরাপ, শরবত ছদর ( শরবত ছদর) সিরাপ, মরহম ছদর ( মরহম ছদর) অয়েটমেন্ট, মারহাম আজিব (মারহাম আজিব) অয়েটমেন্ট, রেনালসেফ ( শরবত বুজুরি) সিরাপ, রিউমাসেফ (কুরুছ আউজা) ক্যাপসুল, লিউকো সেফ (শরবত হাজমীনা) সিরাপ, আমলা সেফ (শরবত আমলা) সিরাপ, বন সেফ (কুশতা ছদফ) ট্যাবলেট, গাট সেফ (জিঞ্জার) ট্যাবলেট, এবং পাইলসেফ ( হাব্বে ই বওসির ডামাভি) ট্যাবলেট । এর মধ্যে বেস’কটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল এর উৎপাদন ও বাজারজাত সাময়িক বাতিল করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
কিন্তু সেইফকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানির মালিক সুচতুর সবুর সাময়িক বাতিল হওয়া ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন করে রাতে, আর দিনের বেলায় তৈরি করে বৈধ লাইসেন্সের আওতায় অবৈধ ঔষধ তৈরির (কালার, ফ্লেবার ও কেমিক্যাল যুক্ত ঔষধ) বিকিকিনি। একটি সুত্রের দাবি, সবুরের কাছে গ্যাস্টিকের ট্যাবলেট গ্যাসটোনা যেন আলাদীনের চেরাগ, এই আলাদীনের চেরাগের বদৌলতে সবুর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে তার প্রভুদের সেবাযত্ন করে, দেওগা সাভার কারখানার পাশে ৬ শতাংশ জমি কিনেছে যৌথ নামে তার স্ত্রী ও তার নামে, কারখানার উত্তর পাশে ৫২ শতাংশ জমি কিনেছেন, ঢাকা মিরপুর প্রীয়াংকা হাউজিং এ ৫ তলা বাড়ির গর্বীত মালিক সবুর হোসেন। কারখানার উত্তর পাশে ২টি গোডাউন ও দক্ষিণ পাশে একটি আবাসিক ভবনের নীচতলায় অবৈধ কেমিক্যাল রাখার গোডাউন আছে। আবাসিক এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কিভাবে ঔষধ তৈরির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়? কোম্পানির লে আউট প্লান, ফায়ার সার্ভিসের সনদ, কলকারখানা পরিদর্শন বিভাগের রেজিষ্ট্রেশন, কোম্পানির ঔষধের লেবেল কার্টন এর চুড়ান্ত অনুমোদন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করা হয় কি না এ সকল বিষয়ে তদন্ত করে দেখা উচিৎ বলে দাবী করেন অপর একটি মহল। সেইফকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানির উল্লেখিত অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে সচেতন মহল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সিআইডি’র উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, এন এস আইয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, ডিবি পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং র্যাব -৪ এর অধিনায়ক সহ র্যাব সাভার ক্যাম্পের ইনচার্জ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।