সেদিন যারা হেসেছিল তারা এখন মুখ লুকায়ঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

অন্যান্য এইমাত্র

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় সেদিন যারা হেসেছিল আজ তারা মুখ লুকায়,
প্রস্ফুটিত চেহারা এখন আর দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর, রাতে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন


বিজ্ঞাপন

জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বললেন — আমরা হবো ডিজিটাল বাংলাদেশ। তৎকালীন সময়ে একদল লোক হাসলো। শেখ হাসিনা কি বলে? কিন্তু আজ সবার হাতে মোবাইল সবাই সারা বিশ্ব যখন স্তব্ধ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত — তখন প্রযুক্তির সহায়তায় কাজে লিপ্ত হয়ে গেলাম। শিক্ষার্থীদের বলা হলো — অনলাইনে ক্লাস করো। ২০০৮ সালে সম্ভব ছিল – – না। ২০২০-২০২১ সালে কি সম্ভব হয়েছে — উত্তর হলো হ্যাঁ। এটার নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। যারা এসেছিল তারা এখন মুখ লুকায়। তাদের প্রস্ফুটিত চেহারা এখন আর তাদের নেই।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে দিনবদলের সনদ উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “দীর্ঘ ১১ মাস কারারুদ্ধ থাকা অবস্থায় জননেত্রী শেখ হাসিনা লিখলেন — দিনবদলের সনদ। কি লিখলেন? আজকে এখানে যারা শিক্ষার্থী আছেন — ২০২১ সালে তারা যখন আসবেন, তখন বাংলাদেশ ২০০৮ সালের সেই বিভীষিকাময় বাংলাদেশ থাকবেন না। সেই কলুষিত বাংলাদেশ থাকবে না। পতাকা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীরা ঘুরে বেড়াত আর মুক্তিযোদ্ধারা মাথা হেঁট করে গ্লানি নিয়ে চলত — সেটাও থাকবে না। কি থাকবে? যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন হবে। আজ ২০২১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।”

নিজের ৫০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন আনন্দদায়ক হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাবা-মায়ের দুঃসহ দিনের কথা স্মরণ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমার মা আমাকে পেটে ধারণ করে জীবন বাঁচানোর জন্য একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন। বাবা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলে গেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার জন্য, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য। মা টুঙ্গিপাড়ায় কিছুদিন পালিয়ে ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানিরা হানা দিলো, পুড়িয়ে দিলো সবকিছু। সেখান থেকে পালিয়ে আমরা গেলাম বরিশালে। সেখানেও হানা দিলেও, পুড়িয়ে দিলো। তারপরে আরেক জায়গায় পালালাম। এভাবে পালাতে পালাতে বাবা লোক পাঠিয়ে আমাদেরকে আগরতলায় নিয়ে গেলেন। সুতরাং ১৯৭১ সালে ১৯ নভেম্বর শরণার্থী হিসেবেই আমার জন্ম গ্রহণ।”

আলোচনা সভা শেষে একাদশ শ্রেণির ১২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তৎপরবর্তী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীসহ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।